সিনোফার্মের ১০ লাখ ডোজ দেশে পৌঁছেছে

চীনের সঙ্গে কেনা চুক্তির আওতায় দেশে আরও ১০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা বিমানবন্দরে পৌঁছেছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন ভ্যাকসিন ডেপ্লয়মেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ডা. শামসুল হক।

টিকা গ্রহণ করতে তিনি বিমানবন্দরে আছেন জানিয়ে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ১০ টার কিছু সময় পরে টিকাবহনকারী বিমান বিমানবন্দরে পৌঁছেছে।

এর আগে আজ সন্ধ্যায় চীনের সিনোফার্মের আরও ৩০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।

তারপর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার রাত ১০টা, দিবাগত রাত ১টা ও ৩টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকা এসে পৌঁছাবে।

টিকা হাতে পাওয়ার পর সেগুলো সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির কোল্ড স্টোরেজে রাখা হবে বলে জানান ডা. শামসুল হক।

এদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের উপ-মহাব্যবস্থাপক তাহেরা খন্দকার জানান, মোট ৩০ লাখ ডোজ কোভিড টিকা দেশে আনতে ২৯ জুলাই  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর অত্যাধুনিক তিনটি ড্রিমলাইনার (একটি বোয়িং ৭৮৭-৯ ও দুইটি বোয়িং ৭৮৭-৮) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে চীনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে প্রয়োজনীয় তাপমাত্রায় বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব টিকা দেশে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। আন্তর্জাতিক এভিয়েশন নীতিমালা ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুরক্ষানীতি যথাযথভাবে অনুসরণ করে করোনা মহামারীকালীন সময়ে সাশ্রয়ী খরচে টিকা, ভেন্টিলেটর ও অন্যান্য সুরক্ষাসামগ্রী পরিবহন করছে বিমান।  

উল্লেখ্য, সিনোফার্মের দেড় কোটি ডোজ টিকা কিনতে চীনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সরকার। তিন মাসের মধ্যে এগুলো দেশে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর আগে চুক্তির আওতায় গত ৩ জুলাই দিনে এবং ওইদিন রাতে দুই দফায় ২০ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা চীন থেকে দেশে পৌঁছায়। এরপর গত ১৭ জুলাই ১০ লাখ এবং ১৮ জুলাই আরও ১০ লাখ, মোট ২০ লাখ ডোজ টিকা দেশে আসে।

তারও আগে গত ১২ মে পাঁচ লাখ এবং ১৩ জুন ছয় লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে দেয় চীন সরকার।

সেই হিসেবে উপহার এবং কেনা চুক্তির আওতায় মোট ৫১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের টিকা দেশে এসেছে। বৃহস্পতিবার রাতে ৩০ লাখ ডোজ হাতে এলে মোট ৮১ লাখ সিনোফার্মের টিকা পাবে বাংলাদেশ।