সিনোফার্মের আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা আসছে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

চীন থেকে সিনোফার্মের আরও ৬ কোটি ডোজ টিকা আসছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এর মধ্যে অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে পর্যায়ক্রমে ২ কোটি করে ৪ কোটি ডোজ টিকা আসবে। এরপর ধারাবাহিকভাবে বাকি টিকাও দেশে পৌঁছাবে।

আজ শনিবার (৭ আগস্ট) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ফিল্ড হাসপাতালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

এসময় তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দেশব্যাপী টিকা কার্যক্রম শুরু করতে আমরা সক্ষম হয়েছি এবং ৫০ লাখের মতো মানুষকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। টিকার ব্যবস্থা প্রতিনিয়ত বাড়ানোর চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।

বিশ্বজুড়েই টিকার সংকট রয়েছে দাবি করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এমন কোনও দেশ নাই যেখানে আমরা টিকার সন্ধান না করেছি। প্রতিটি জায়গায় আমাদের দূতাবাস কাজ করছে। চীন থেকে ৩ কোটি ডোজ টিকা আনার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলাম, এখন আরও ৬ কোটি টিকা আনার জন্য আমরা চুক্তিবদ্ধ হচ্ছি। অর্থাৎ আগে যে দেড় কোটি কনসার্ন চুক্তি ছিল তার সঙ্গে আরও ৬ কোটি মিলিয়ে মোট সাড়ে ৭ কোটি ডোজ টিকা চীন থেকে আনার চেষ্টা করছি আমরা।

আর তাতে ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমরা চুক্তিবদ্ধ হয়ে যাবো।

জাহিদ মালেক বলেন, আমরা আশা করি, যেভাবে চীন বলেছে- নভেম্বরের মধ্যে প্রতি মাসে সমহারে আমরা টিকাগুলো পাবো। তারা যদি তাদের কমিটমেন্ট ঠিক রাখে, তাহলে অক্টোবরে ২ কোটি ও নভেম্বরে ২ কোটি টিকা পাবো।

পাশাপাশি কোভ্যাক্স সুবিধার আওতার টিকা সরবরাহও বজায় থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, টিকা আমরা গ্রামে নিয়ে যেতে চাচ্ছি। শহরের লোকেরা টিকা মোটামুটি পেয়েছে। গ্রামের বয়স্ক লোকেরা সেভাবে টিকা গ্রহণ করেনি। তাদের মধ্যে অনীহাও ছিল। আমরা সেই জন্য টিকা তাদের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। ঢাকা শহরে যে ৭৫ শতাংশ রোগী আছে তাদের বেশির ভাগই গ্রাম থেকে আসা এবং ৯০ শতাংশই টিকাবিহীন, তারা টিকা নেননি বলেও উল্লেখ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, আজ ৭ আগস্ট দেশজুড়ে শুরু হয়েছে গণটিকাদান কর্মসূচি। সারাদেশে পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক জনগোষ্ঠী, নারী, শারীরিক প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে আজ (৭ আগস্ট) থেকে দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় সারাদেশে ৪ হাজার ৬০০টি ইউনিয়নে, ১ হাজার ৫৪টি পৌরসভায় এবং সিটি করপোরেশন এলাকার ৪৩৩টি ওয়ার্ডে ৩২ হাজার ৭০৬ জন টিকাদানকারী এবং ৪৮ হাজার ৪৫৯ জন স্বেচ্ছাসেবীর মাধ্যমে একযোগে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে।