বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত: তথ্যমন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জিয়াউর রহমানের জড়িত থাকার পূর্ণ ইতিহাস প্রকাশ পেলে বিএনপি নেতাকর্মীরা লজ্জিত হবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে জিয়া ওতপ্রোতভাবে জড়িত ছিল।’

মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বিএফডিসির শুটিং ফ্লোরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট সমিতিসমূহ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। 

বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান ও সচিব মো. মকবুল হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, সাধারণ সম্পাদক শাহিন সুমন, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বক্তব্য রাখেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানসহ বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যান্য কুশীলবদের মুখোশ ধীরে ধীরে উন্মোচিত হবে। যখন ইতিহাস পরিপূর্ণভাবে উন্মোচিত হবে জিয়াউর রহমান কীভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে বর্ণচোরা ভূমিকা পালন করেছিল, কীভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত ছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের উৎসাহ দিয়েছিল এবং পরে পুনর্বাসিত করেছিল; সেই সত্যগুলো ক্রমাগতভাবে প্রকাশ পাচ্ছে এবং যখন আরও প্রকাশিত হবে, তখন যারা জিয়াউর রহমানের দল করেন, তারা লজ্জা পাবেন।’

‘জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার হয়ে রণাঙ্গণে যুদ্ধ করেন আর তার স্ত্রী-পুত্রদের পাকিস্তানি আর্মি একেবারে আদর যত্নে ক্যান্টনমেন্টে রাখেন, এটি কখনও সম্ভব না’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘এতে এবং জিয়ার কাছে লেখা কর্নেল বেগের চিঠিতেই প্রমাণিত হয় মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমানের ভূমিকাটা কী ছিল।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যে আন্তর্জাতিক শক্তি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চায়নি, তাদের সঙ্গে যোগসাজশে বাংলাদেশে যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধাচারণ করেছে, পাকিস্তানিদের পক্ষাবলম্বন করে তাদের পক্ষে অস্ত্র ধারণ করেছে, যে বর্ণচোরা শক্তি মিলে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে; সেই বর্ণচোরা শক্তির মধ্যে ছিল খন্দকার মোশতাক আহমেদ, জিয়াউর রহমান। কারণ জিয়াউর রহমান ২৫ মার্চ সোয়াচ জাহাজ থেকে অস্ত্র খালাস করছিল, পরে সেখানে যখন বাধা দেওয়া হয়, সে চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলার করলেখা পাহাড়ে চলে যায়।’

বাংলাদেশে চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্প আজকে নানামুখী সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে এটি সঠিক, কিন্তু এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আমরা ইতোমধ্যেই অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। চলচ্চিত্র শিল্পীদের বহুদিনের দাবি প্রধানমন্ত্রী পূরণ করেছেন। চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সিনেমা হল পুনর্নির্মাণ, বন্ধ হল চালু করা ও নতুন হল নির্মাণের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল গঠিত হয়েছে। আমরা মন্ত্রণালয়ের সচিবের নেতৃত্বে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর প্রতিনিধি এবং হল মালিক, প্রযোজকসহ আরও যাদের প্রয়োজন, তাদের ডেকে একটি বৈঠক করবো; যাতে এই খাত থেকে সবাই খুব সহসা উপকার পায়।’

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, ‘জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর আসল খুনি। তার মরণোত্তর বিচার করতে হবে।’