(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ১৯৭৩ সালের ২৫ আগস্টের ঘটনা।)
এদিন নয়াদিল্লিতে ভারত-পাকিস্তান কর্মকর্তা পর্যায়ে আলোচনা নবম দিনে পা রাখে। পাকিস্তানের অযৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে আলোচনা অচল অবস্থায় পৌঁছেছে বলে জানানো হয়। দুই ঘণ্টা আলোচনার পর বের হয়ে এসে উভয় পক্ষই প্রকৃত অবস্থা জানাতে অস্বীকৃতি জানায়। তারা বলেন, ‘আবারও বৈঠক হবে।’
তবে সবকিছু যে ভালো চলছে না- ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর বিশেষ দূত পিএন হাকসারের মন্তব্যে সেটার ইঙ্গিত পাওয়া যায়। পাকিস্তান নাকি আরও কিছু ছাড় দিয়েছে। একজন বিদেশি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে হাকসার বলেন, এটা হলো পাকিস্তানের কিংবদন্তির অংশ। অর্থাৎ তারা যা বলে সব যুক্তিসঙ্গত এবং অন্যদের সবই অযৌক্তিক।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভুট্টোর আদেশ নিয়ে তার পররাষ্ট্র সচিব আগাশাহী বৈঠকে যোগ দেন। ফিরে এসে আগাশাহী আভাস দিয়েছেন, আলোচনার অগ্রগতি পাকিস্তানের ওপর নয়, ভারত ও বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করছে। এভাবে পাকিস্তান কোনও আনুষ্ঠানিক সমাধান আনতে পারবে না।
হাকসার বলেন, তিনি আলোচনার গতি-প্রকৃতি জানাতে রাজি নন। তার দেখানোর মতো কোনও লাইন নেই। তবে চাইলে সাংবাদিকরা তাদের পাকিস্তানি বন্ধুদের কাছে যেতে পারেন। তারা চাইলে একটা লাইন দেখাতে পারবেন। ভারত অচলাবস্থা দূর করে একটা মতৈক্যে পৌঁছানোর আপ্রাণ চেষ্টা করছে- এটা বাস্তব সত্য। তবে হাকসারের মন্তব্য থেকে মনে হয় আগামীকালের বৈঠক চূড়ান্ত বৈঠক নাও হতে পারে। হয়তো পরের দিনও বৈঠক চলবে।
এদিন ভোররাতে আগাশাহী সাংবাদিকদের বলেছেন, আলোচনা ব্যর্থ হবে এ কথা বলার সময় আসেনি। তবে ২৮ আগস্টের মধ্যে পাকিস্তানি দলকে দিল্লি ত্যাগ করতে হবে বলে আভাস দেন। কারণ, ৩০ আগস্ট থেকে আজিজ আহমেদকে বিদেশ সফরে যেতে হবে। আগাশাহী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী তাকে মীমাংসায় পৌঁছানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করতে বলেছেন।
আইনের স্বীকৃত নীতিমালা মানা উচিত
‘আমাদের সমস্ত চিন্তা ও কাজ সময়ের কষ্টিপাথরে যাচাইকৃত এবং পরিবর্তিত সমাজ চাহিদার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ আইনের স্বীকৃত নীতিমালার দ্বারা পরিচালিত হওয়া উচিত।’ রাষ্ট্রপতি বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী আইভরিকোস্টের রাজধানীতে অনুষ্ঠিত ষষ্ঠ আইনজীবী সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন।
আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে আয়োজিত এই সম্মেলনে বিশ্বের শতাধিক দেশের প্রায় এক হাজার আইনজীবী ও বিচারক অংশ নেন। সম্মেলন বিশ্বশান্তির জন্য উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে এবং নৈতিক ও আত্মিক শক্তিগুলোকে নেতৃত্ব দেবে বলে ঐকান্তিক আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পরিকল্পনা কমিশনের গোপন নথিপত্র পাচার
অর্থনীতির বিষয়ে গোয়েন্দাবৃত্তির দায়ে ঢাকার একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ীসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। উপযুক্ত সূত্রের বরাত দিয়ে এনা বলেছে, ক্যাপ্টেন (অব.) জিয়াউর রহমান নামের এক ব্যবসায়ী ও তার ম্যানেজারকে প্রধানমন্ত্রীর ভিজিল্যান্স টিম গ্রেফতার করছে।
তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে পরিকল্পনা কমিশনের গোপন নথিপত্র পাচারের অভিযোগে প্রেসিডেন্টের ৫০ নম্বর আদেশ বলে মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় তাদের অফিস তালাবদ্ধ করা হয়। এই সূত্রে বলা হয়, কতিপয় পদস্থ কর্মচারী এতে জড়িত আছে।