ফ্লাইটে পাইলট নওশাদের জন্য নফল নামাজ পড়েন ক্রু

ভারতের আকাশে উড়োজাহাজে হুট করেই নিথর হয়ে পড়েন ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম। তার সঙ্গে থাকা ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম বোয়িং ৭৩৭-৮০০’র ককপিটের কন্ট্রোল নেন। পাইলটের অসুস্থতার খবরটি ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম মেডিক্যাল ইমার্জেন্সে ঘোষণা করলেন। সব কিছু ঠিক করে অবতরণের জন্য প্রস্তুত কেবিন ক্রুরা। নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণে হাতে আছে আরও কিছু সময়। পাইলটের সুস্থতা ও নিরাপদে অবতরণের জন্য দোয়া কামনা করে নফল নামাজে দাঁড়িয়ে গেলেন একজন কেবিন ক্রু।

১২৪ জন যাত্রী নিয়ে ওমানের মাস্কাট থেকে ঢাকার পথে আসছিলো বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি। গত শুক্রবার (২৭ আগস্ট) বিজি ০২২ ফ্লাইটে থাকা ক্রুদের বর্ণনায় ওঠে এসেছে সেদিনের ঘটনা। সেই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছাড়াও ২ জন ককপিট ক্রু ও ৬ জন কেবিন ক্রু ছিলেন।

ফ্লাইটে থাকা একজন কেবিন ক্রু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, হুট করে ককপিট থেকে ফার্স্ট অফিসার মোস্তাকিম জানালেন ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ককপিটে গিয়ে আমরা তার অবস্থা দেখে বুঝতে পারি তিনি মারাত্মকভাবে হার্ট অ্যাটাক করেছেন। তার নিজের যে খারাপ লাগছে, কিংবা অসুস্থ বোধ করছেন- এ কথা বলারও সুযোগ পাননি। তিনি পুরোই কলাপ্স করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কেবিন ক্রু বলেন, আমি পাইলটের সুস্থতার জন্য দোয়া করেছি, যাত্রীদের জন্য দোয়া করেছি, নিজের জন্যও দোয়া করেছি। যেন আমরা সবাই নিরাপদে অবতরণ করতে পারি। দুই রাকাত নফল নামাজ পড়েছি।

পরে ফ্লাইটটি ভারতের মহারাষ্ট্রের নাগপুরের ড. বাবাসাহেব আম্বেদকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে। বিমানের পাইলটকে দ্রুত স্থানীয় একটি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৩০ আগস্ট) সকালে মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।

প্রসঙ্গত,ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইয়ুম ১৯৭৭ সালের ১৭ অক্টোবর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ২০০২ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে পাইলট হিসেবে যোগদান করেন।