তালেবানরা রক্ষণশীল থাকলে কাজের সুযোগ কমবে: পররাষ্ট্র সচিব

কাবুল দখলের প্রায় একমাস পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করেছে তালেবানরা। মোটামুটিভাবে রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে স্বীকৃত এ গোষ্ঠীর দেশ পরিচালনার ধরন কেমন হবে তা নিয়ে পরিষ্কার ধারণা এখনও পাওয়া যাচ্ছে না। এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখা কিংবা তাদের সঙ্গে কাজ করার ক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা দেখতে পাচ্ছি তাদের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া এখনও ভ্রূণ অবস্থায়। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে একটা পরিষ্কার চিত্র দেখা যাবে। তখন বুঝতে পারবো, তাদের (তালেবান) কথায়-কাজে মিল আছে কিনা।’

মিল থাকলে অবশ্যই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তা লক্ষ্য করবে এবং তারা যদি সম্পৃক্ত হতে চায়, তা হলে বাংলাদেশ পিছিয়ে থাকবে না বলেও তিনি জানান।

তিনি এও বলেন, ‘ওরা যদি সংঘাতের দিকে যায়, অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন না করে যদি নারীর শিক্ষা, ক্ষমতায়ন, এসব ক্ষেত্রে রক্ষণশীল মনোভাব পোষণ করে, তবে তাদের সঙ্গে আমাদের কাজ করার সুযোগ কমে আসবে।’

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এই অঞ্চলে আমরা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার হিসেবে দেখতে চাই। বিশেষ করে আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ আছে। তবে সব নির্ভর করছে আগামী মাসগুলোতে তারা কোন দিকে যাচ্ছে সেটার ওপর।’

কোনও দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাংলাদেশ নাক গলায় না। আফগানিস্তানের ক্ষেত্রেও একই ধারা বজায় থাকবে বলে জানান তিনি।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আফগানরা কোন সরকার বানাবে এবং তারা কীভাবে চলবে, সেটি তারা ঠিক করবে। আফগান জনগণ যদি ওই দেশের সরকারকে মেনে নেয় তা হলে বাংলাদেশ পেছনে পড়ে থাকবে না। সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়ানোই থাকবে। কারণ, স্বাধীনতার সময় আফগানিস্তানের সমর্থন পেয়েছে বাংলাদেশ।’

তিনি বলেন, আফগানিস্তান সার্কের সদস্য। ওই জোটের সব সদস্য যেন সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে সেটিই আমাদের বৃহৎ লক্ষ্য।