শনাক্তের হার নেমে এলো ৯ শতাংশের নিচে

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু এবং শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে। তবে কমেছে শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা গেছেন ৫৮ জন, যা গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) ছিল ৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৫৮৮ জন। গতকাল দুই হাজার ৪৯৭ জনের শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর। তবে গতকাল রোগী শনাক্তের হার ৯ দশমিক শূন্য সাত থাকলেও আজ তা নেমে এসেছে নয়-এর নিচে। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার আট দশমিক ৭৬ শতাংশ।

বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনা বিষয়ক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে

অধিদফতর জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৮ জনকে নিয়ে দেশে সরকারি হিসাবে এখন পর্যন্ত মারা গেলেন ২৬ হাজার ৭৯৪ জন। সেই সঙ্গে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্ত হওয়া দুই হাজার ৫৮৮ জনকে নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্ত হলেন ১৫ লাখ ২৪ হাজার ৮৯০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন তিন হাজার ৬১৭ জন। এদের নিয়ে দেশে মোট সুস্থ হলেন ১৪ লাখ ৬৮ হাজার ২১১ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় আট দশমিক ৭৬ শতাংশ শনাক্তের হার নিয়ে এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯৬ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৭৬ শতাংশ

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার নমুনা সংগৃহীত হয়েছে ২৯ হাজার ৪৯৫টি, আর পরীক্ষা করা হয়েছে ২৯ হাজার ৫৪১টি। দেশে এখন পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯১ লাখ ৭৫ হাজার ৯১২টি। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৫৩টি এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ২৩ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৯টি। 

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মারা যাওয়া ৫৮ জনের মধ্যে পুরুষ ৩৫ জন, আর নারী ২৩ জন। দেশে এখন পর্যন্ত পুরুষ মারা গেলেন ১৭ হাজার ২৯৪ জন এবং নারী ৯ হাজার ৫০০ জন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের বয়স বিবেচনায় ১০০ বছরের ঊর্ধ্বে রয়েছেন একজন, ৯১ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে একজন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ছয় জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে সাত জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে সাত জন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে দুই জন এবং ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে দুই জন।

মারা যাওয়া ৫৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ২২ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ১৯ জন, রাজশাহী বিভাগের তিন জন, খুলনা বিভাগের পাঁচ জন, সিলেট বিভাগের আট জন এবং রংপুর বিভাগের একজন।

৫৮ জনের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন ৫০ জন এবং বেসরকারি হাসপাতালে আট জন।