(বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর সরকারি কর্মকাণ্ড ও তার শাসনামল নিয়ে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করছে বাংলা ট্রিবিউন। আজ পড়ুন ১৯৭৩ সালের ২৮ সেপ্টেম্বরের ঘটনা।)
জীবনের সর্বস্তরে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। শৃঙ্খলা ছাড়া কোনও জাতি বড় হতে পারে না। বিমান বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘বহু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা নস্যাতের সাধ্য কারও নেই। স্বাধীনতার বিরুদ্ধে যত বড় ষড়যন্ত্রই হোক না কেন, আমাদের বিমান ও স্থল বাহিনী জনসাধারণের সঙ্গে মিলিতভাবে তা প্রতিহত করবে।’
প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালের এ দিন বিমান বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন। বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বিমান বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিটের অভিবাদন গ্রহণ করেন এবং তাদের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন। হাজার হাজার লোক এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সংসদ সদস্য, রাজনৈতিক নেতা, তিন বাহিনীর প্রধান ও পদস্থ কর্মকর্তারা বিমান বাহিনীর সৈনিকদের বা শহীদ সৈনিকদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ যেদিন সবার মাঝে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে, সেদিন বীর শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীন সার্বভৌম দেশে সামরিক বাহিনী থাকা স্বাধীনতার একটি অঙ্গ। বিধ্বস্ত দেশকে গড়ার কাজে হাত দেবার জন্য, একইসঙ্গে শক্তিশালী প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশের জন্য তাদের নিজস্ব সশস্ত্রবাহিনী থাকা একান্ত অপরিহার্য।’
বঙ্গবন্ধু তাঁর বক্তৃতায় বলেন, ‘পাকিস্তানে আটক বাঙালিদের ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। যারা ফিরে আসছেন, তারা বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে এখানে চাকরি পাবেন, সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। তবে তাদের মধ্যে যে কিছু কিছু বেঈমান রয়েছে, তাদের ক্ষমা নেই।’