‘ডিজিটাল ডিভাইস হবে সবচেয়ে বড় রফতানি পণ্য’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইস হবে সবচেয়ে বড় রফতানি পণ্য। পাট ও পাটজাত পণ্যও আমরা রফতানি করতে পারি। আমাদের দেশে যেমন বিনিয়োগ হবে, তেমনি আমরাও বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবো। সে ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়কে আরও বেশি উদ্যোগী হতে হবে।’

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টেবর) সকালে পূর্বাচলে বাণিজ্য মেলার নবনির্মিত স্থায়ী কেন্দ্র ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। এতে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকের সন্দেহ থাকতে পারে উন্নয়নশীল দেশ হলে বোধ হয় অনেক সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত হবো। আসলে যেসব সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবো, তার চেয়ে বেশি সুবিধা আমরা পাবো। আমাদের বাণিজ্য বাড়বে, রফতানি বাড়বে, রফতানি সুবিধা পাবো।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের সব পণ্য প্রদর্শনীসহ সব আয়োজনের জন্য বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী প্রদর্শনী কেন্দ্র সচল রাখবেন এবং এর যথোপযুক্ত ব্যবহার করবেন বলে আশা করি।’

বাংলাদেশ ও চীনের যৌথ অর্থায়নে নির্মিত এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটি বছরব্যাপী বিভিন্ন পণ্যভিত্তিক মেলার স্থায়ী ভেন্যু হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ২০ একর জায়গার এই প্রদর্শনী কেন্দ্রটির নির্মাণে ব্যয় হয়েছে এক হাজার ৩০৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা। যার মধ্যে ৬২৫ কোটি ৭০ লাখ টাকা দিয়েছে চীন। দেশটির ‘চায়না স্টেট কন্সট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (সিএসসিইসি) প্রকল্পটি নির্মাণ কাজের বাস্তবায়ন করে।

প্রকল্পটিতে ফ্লোর স্পেস ৩৩ হাজার স্কয়ার মিটার। এর মধ্যে ১৫ হাজার ৪১৮ স্কয়ার মিটারের একটি প্রদর্শনী হল রয়েছে। আধুনিক প্রদর্শনী কেন্দ্রটিতে নিজস্ব পানি শোধনাগার, সিএটিভি কন্ট্রোল রুম, ইন্টারনেটের জন্য ওয়াইফাই সিস্টেম, একটি আধুনিক ঝরনা ও রিমোট-কন্ট্রোলড প্রবেশ দ্বার রয়েছে।