ধর্মীয় সম্প্রীতি নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা মোকাবিলার নির্দেশ

পূজার সময়ে সন্ত্রাসী ঘটনার প্রচারণা মোকাবিলার জন্য বিদেশে বাংলাদেশি মিশনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য যেসব দেশে বাংলাদেশি কূটনীতিকরা কর্মরত রয়েছেন, ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকার বা সাংবাদিকদের কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সরবরাহ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ তথ্য জানান।

পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘বিদেশে যদি এ বিষয় নিয়ে নেতিবাচক প্রচারণা চালানো হয়, তবে আমাদের দূতাবাসগুলো যাতে সেটি কাউন্টার করতে পারে, তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সেটার বিষয়ে অগ্রগতি আমরা সবসময় আমাদের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকি, যাতে তারা যে দেশে কাজ করছেন, ওই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বা সরকার বা  সংবাদপত্রকে এ বিষয়ে জানাতে পারেন।’

স্থিতিশীলতা

বাংলাদেশের মূল লক্ষ্য হচ্ছে স্থিতিশীলতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন করা। কিন্তু এ ধরনের ঘটনার কারণে মূল লক্ষ্য থেকে বিচ্যুতি ঘটতে পারে।

এ বিষয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘স্থিতিশীলতার কারণেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এবং এ ধরনের বিশৃঙ্খলা যদি শক্ত হাতে দমন না করা যায়, তাহলে আমাদের অগ্রগতি ব্যাহত হবে।’

সমাজের সবারই দায়িত্ব হচ্ছে এ ধরনের ঘটনা সমূলে উৎপাটন করা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ অর্থনৈতিকভাবে অগ্রগতি সাধন করেছে। কিন্তু সমাজে বিভিন্ন সমস্যা আছে, কিন্তু আমরা তো এ ধরনের সমাজ চাই না। প্রগতিশীল একটি দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে চাই, যেখানে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতি একসঙ্গে হবে।’

সরকারের অবস্থান

এটি অত্যন্ত দুঃখজনক এবং সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য বিষয় জানিয়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় থাকুক। আমরা সবসময় বার্তা দিয়ে আসছি যে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। ধর্ম যার যার উৎসব সবার—এই বার্তাটি আমরা সবসময় দিয়ে থাকি।’

গুজব বা আইসিটির মাধ্যমে অপপ্রচার অত্যন্ত বিপজ্জনক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অনেকে পছন্দ করেন না, কিন্তু এটি ছাড়া তো উপায় নাই।’

সরকারের অবস্থান শক্ত ছিল এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। অন্যান্য ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল, যাতে ইন্টারনেটের মাধ্যমে অপপ্রচার দ্রুত না ছড়ায়, বলেন তিনি।