সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল নারীর মর্যাদাহানি রোধ করবে: আইনমন্ত্রী

বিদ্যমান সাক্ষ্য আইনের ধারা ১৫৫(৪)-এর বিধান নারীর মানবাধিকারের বিরুদ্ধে তাই তাই এটি বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। এই উদ্যোগ নারীর মর্যাদাহানি রোধ করবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইন সংশোধন ও অধিকতর যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলের মতামত গ্রহণে অনুষ্ঠিত এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আইনমন্ত্রী বলেন, প্রায় ১৪৯ বছর আগের আইনটি এখনও কার্যকরভাবে প্রাসঙ্গিক। তবে, ডিজিটাইজেশন একটি নতুন বাস্তবতা। এই বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে সাক্ষ্য আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এই সংশোধনী আনয়নে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হয়েছি। আইন-আদালতও এর বাইরে নয়। তাই বাস্তব অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সাক্ষ্য আইন সংশোধন করার উদ্যোগ নিয়েছি।

বিভিন্ন যুক্তি তুলে ধরে আইনমন্ত্রী  বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি বাংলা ভাষায় করা হলেও সাক্ষ্য আইন ইংরেজিতেই করা হবে।

বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক কো-অর্ডিনেটর মিয়া সেপো বলেন, সাক্ষ্য আইন সংশোধনের বিষয়টি বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থায় একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এই সংশোধনী মানবাধিকার উন্নয়নে সহায়ক হবে। নারীর মর্যাদাহানির পুনরাবৃত্তি হবে না। পাশাপাশি বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়ায় এ সংশোধনী যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে।

লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিন উদ্দিন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব গোলাম সাওয়ার, সুপ্রিম কোর্টের  রেজিস্ট্রার জেনারেল আলী আকবর, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এ এইচ এম হাবিবুর রহমান ভুঁইয়া, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েস, অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক (সিআইড) ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর ডিআইজি বনজ কুমার মজুমদার, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আইনটির বিষয়ে মতামত তুলে ধরেন।