তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থানে ১৫ কোটি ডলার দেবে বিশ্বব্যাংক

পৌনে দুই লাখ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের শোভন কর্মসংস্থানের জন্য কাজ করবে বিশ্বব্যাংকের ‘রিকোভারি অ্যান্ড অ্যাডভান্সমেন্ট অব ইনফরমাল সেক্টর এমপ্লয়মেন্ট (আরএআইএসই)’ প্রকল্প।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন পিকেএসএফ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। পিকেএসএফ-এর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. নমিতা হালদার এবং বিশ্বব্যাংকের পক্ষে আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি মিয়াং টেম্বন এতে স্বাক্ষর করেন।

পিকেএসএফ’র উপ-ব্যবস্থাপক মাহফুজুল ইসলাম শামীম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস জানিয়েছে, দেশের অনানুষ্ঠানিক খাতের ক্ষুদ্র উদ্যোগে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং স্বল্পদক্ষ ও অদক্ষ তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের শোভন কর্মসংস্থানের জন্য ২৫ কোটি ডলারের একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। বিশ্বব্যাংক এই প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থসহায়তা করছে।

পাঁচ বছর মেয়াদী ২৫ কোটি ডলারের এই প্রকল্পে ১৫ কোটি ডলার সহায়তা দেবে বিশ্বব্যাংক এবং বাকি ১০ কোটি ডলার পিকেএসএফ-এর নিজস্ব তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে।

আরএআইএসই প্রকল্পের আওতায় পিকেএসএফ-এর ৭০টি সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে সারা দেশের শহর ও উপশহরাঞ্চলে অবস্থিত ব্যবসাগুচ্ছভুক্ত ১ লাখ ৭৫ হাজার তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর্মসংস্থান ও ব্যবসায়িক সামর্থ্য বাড়াতে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এদের মধ্যে কোভিড-১৯-এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় উদ্যোগ পুনরায় সচল করতে সহজ শর্তে অর্থায়ন করা হবে। পাশাপাশি, তরুণ উদ্যোক্তাদের টেকসই ক্ষুদ্র উদ্যোগ পরিচালনা, দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং রফতানিমুখী শিল্পাঞ্চল ও বিদেশে কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক কারিগরি বিষয়ে দক্ষ তরুণদের বিদেশি ভাষার প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। প্রকল্পে মোট অংশগ্রহণকারীর অন্তত ৩০ শতাংশ হবেন নারী।