উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপনের সক্ষমতা অর্জন করেছে বিমান

প্রথমবারের মতো সম্পূর্ণ নিজস্ব স্থাপনা, ব্যবস্থাপনা ও জনবল দিয়ে অত্যাধুনিক বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। এর ফলে আনুমানিক ৪ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা) সাশ্রয় হয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত এই সংস্থার প্রকৌশলীরা বিদেশ থেকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে যথাযথ কারিগরি জ্ঞান অর্জনের পর বিমান হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে গত ২০ অক্টোবর ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন কার্যক্রম শুরু করেন। আজ (৪ নভেম্বর) সফলভাবে ল্যান্ডিং গিয়ার পরিবর্তন সম্পন্ন হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘ল্যান্ডিং গিয়ার পরিবর্তন একটি অত্যন্ত জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজ। প্রতি ১০ বছর পরপর ল্যান্ডিং গিয়ার পরিবর্তনের পর ওভারহোল করা হয়। বিমানের চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজ রয়েছে, এর মধ্যে প্রথমটির ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন সম্পন্ন হলো। আগামী মাসে বিমানের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় আরেকটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন করা হবে।’

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থাটি জানিয়েছে, আগে বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপনের কাজটি করাতে বিপুল বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হতো। চারটি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রতিস্থাপন কাজ সম্পন্ন হলে বিমানের প্রায় ১৬ লাখ মার্কিন ডলার (পৌনে ১৪ কোটি টাকা) সাশ্রয় হবে।

এর আগে ড্রিমলাইনারের সি-চেক কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন করে নিজেদের সক্ষমতার প্রকাশ ঘটিয়েছেন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের প্রকৌশলীরা।