এখন ট্রেন পরিষ্কার হবে ১০ মিনিটে

এতদিন একটি ট্রেন ধুয়েমুছে পরিষ্কার করতে সময় লাগতো প্রায় দুই ঘণ্টা। এখন লাগবে ১০ মিনিট। ট্রেন পরিষ্কারে স্বয়ংক্রিয় ওয়াশিং প্ল্যান্ট চালু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পানির অপচয় রোধের পাশাপাশি জনবলও কম লাগবে এতে। ঢাকায় কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এবং রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে একটি করে মোট দুটি প্ল্যান্ট চালু হয়েছে।

রেলওয়ে জানিয়েছে, এতদিন একটি ১৪ বগির ট্রেন পরিষ্কারে ২০ জন কর্মীর সময় লাগতো ২ ঘণ্টা। পানি লাগতো ১০ হাজার লিটার। এখন চার হাজার লিটারে পুরো ট্রেন পরিষ্কার হবে ৮-১০ মিনিটে।

কমলাপুর প্ল্যান্টটি মিটারগেজ লাইনে চলাচলকারী ট্রেনগুলো পরিষ্কার করবে। রাজশাহীর প্ল্যান্টটি ব্রডগেজ রেলে চলাচলকারী ট্রেনগুলো পরিষ্কার করবে। রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন সোমবার রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন। রাজশাহীর প্ল্যান্ট উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন।

এ ছাড়া, আগে ট্রেন পরিষ্কারে সময় বেশি লাগতো। ব্রাশ দিয়ে ঘষে পরিষ্কার করতেন রেলকর্মীরা। এতে কাদা-মাটি থেকে যেতো, মরিচাও ধরতো কিছু অংশে। প্ল্যান্টে আধুনিক প্রযুক্তিতে বগিগুলোর উভয় পাশ, ছাদ—সব জায়গাই পরিষ্কার হবে। ট্রেন পরিষ্কারে ব্যবহৃত পানি আবার রিসাইকেল করা হবে। এতে দিনে কমপক্ষে এক লাখ লিটার পানি সাশ্রয় হবে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের অক্টোবরে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় একনেক। এই প্রকল্পের আওতায় দুটি অটোমেটিক ট্রেন ওয়াশিং প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়।