সংকটে-সংগ্রামে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী: তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সংকটে, সংগ্রামে দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিতে হয়, সেই উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। তিনি সব প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণের পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। পৃথিবীর সামনে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পেরেছে বাংলাদেশ। বিশ্বের উন্নত দেশগুলো বিষয়টি এখন অকপটে স্বীকার করছে।

বৃহস্পতিবার স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে জাতীয় সংসদে বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন। বুধবার জাতীয় সংসদে এই আলোচনার প্রস্তাব তোলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে সংসদে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। দুই দিন আলোচনা শেষে আজ প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হবে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পাকিস্তানের স্বাধীনতার পরপরই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা চিন্তা করেছিলেন। তিনি জানতেন কখন কোন বিষয়টি জনগণের সামনে আনতে হবে। বঙ্গবন্ধু কেবল বাংলাদেশ রচনাই করেননি, দেশকে উন্নত, সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তরের জন্য কাজ করেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে পুনর্গঠন করে যখন এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ঠিক তখনই তাকে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকে যখন হত্যা করা হয় তখন দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ। আজ পর্যন্ত এই জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারিনি আমরা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে ওই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে স্বাধীনতার ১০-১৫ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ হতো ‍উন্নত রাষ্ট্র।

তিনি বলেন, স্বাধীনতার আগে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের মাথাপিছু আয় পশ্চিম পাকিস্তানের প্রায় অর্ধেক ছিল। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় পাকিস্তানকে ছাড়িয়ে যায়। ওই সময় পাকিস্তানের মাথাপিছু আয় ছিল ১০০ ডলার, বাংলাদেশের ১২০ ডলার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, মানব উন্নয়নসহ সব সূচকে আজ বাংলাদেশ পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছে। এটাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ রচনার সার্থকতা। আজ পাকিস্তান আমাদের দিকে তাকিয়ে হা-হুতাশ করে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কেবল উন্নত রাষ্ট্র নয়, ২০৪১ সালের মধ্যে এমন একটি রাষ্ট্র রচনা করতে চাই, যে রাষ্ট্র হবে মানবিক ও সামাজিক উন্নয়নের উদাহরণ।