রসে ভেজানো চিতই, ভাপা পিঠা, পাটিসাপটার পাশাপাশি ছিল সেদ্ধ পিঠা, পুলি পিঠাসহ অনেক আয়োজন। এ যেন মাঘের ঝাঁকিয়ে বসা শীতে গ্রাম বাংলার স্বাদ আস্বাদন।
শনিবার দুপুর গড়িয়ে বিকেল। বাংলা ট্রিবিউনের পান্থপথস্থ অফিসে আসতে শুরু করেন নিয়মিত কলাম লেখক, শুভানুধ্যায়ীরা। আর সংবাদকর্মীরা তো ছিলেনই।
ছোটবেলার সেই টোনাটুনির পিঠা বানানোর গল্প কমবেশি সবার মনে থাকলেও যান্ত্রিক জীবনের যাঁতাকলে পিষে বাঙালির আদি সংস্কৃতির অংশ পিঠা বানানো এবং খাওয়ার ধুম পড়েছিল অফিসজুড়ে। যদিও শীতের সকালে কিংবা দৈনন্দিন জীবনের কোনও এক অবসর সময় প্রিয়জনদের নিয়ে রসনার তৃপ্তি মেটানোর অংশ হিসেবে পিঠা তৈরি এবং একই জায়গায় একসঙ্গে বসে খাওয়ার চল প্রায় উঠেই গেছে।
কথায় আছে, বাঙালি চিরকালই অতিথি পরায়ণ। সামাজিক বন্ধনটিও শক্ত তাদের। ছোটবেলায় পরীক্ষা শেষে গ্রামের বাড়িতে গোল হয়ে বসে পিঠে রোদ ঠেকিয়ে পৌষ মাঘের যে উৎসব চলত, শনিবারে বাংলা ট্রিবিউনের পিঠা উৎসবের পরিবেশ সেই স্মৃতিই মনে করিয়ে দিচ্ছিল। নিজেদের সংস্কৃতির ঐতিহ্য ধরে রেখে বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে সম্পর্কিত সবাইকে নিয়েই চলে পিঠা উৎসবের আয়োজন।
বাংলা ট্রিবিউন সবসময়ই এর পাঠক, লেখকসহ শুভানুধ্যায়ীদের পরিবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ মনে করে। উৎসবের এই আমেজ আরও গাঢ় করতে হাজির হয়েছিলেন দেশের প্রথিতযশা কলাম লেখক, শিল্পী, সাংবাদিকরা।
বাংলা ট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক জুলফিকার রাসেল এই আয়োজন নিয়ে বলেন, আজকের আয়োজন পিঠা উৎসব, এটিই বড় কথা নয়। আনন্দের কথা হলো, আমরা সবাই একসঙ্গে শীতের এই সময়টাকে উদযাপন করতে চেয়েছি। এর মধ্যে শীতটা জেঁকে বসায় পিঠাসহ সহকর্মীদের সঙ্গে কিছু সময় কাটানোটাই আমাদের মূল উদ্দেশ্য। যেখানে বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত লেখকদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কারণ, সবাইকে নিয়ে বাংলা ট্রিবিউন একটা পরিবার।
পিঠা উৎসবে উপস্থিত হয়েছিলেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, সাংবাদিক নাদীম কাদির, প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেসসচিব আশরাফুল আলম খোকন, সিনিয়র সাংবাদিক বিভুরঞ্জন সরকার, এশিয়ান টিভির বার্তা প্রধান আনিস আলমগীর, সময় টিভির বার্তা প্রধান তুষার আবদুল্লাহ, ব্লগার আইরিন সুলতানা, কলামিস্ট চিররঞ্জন সরকার, দৈনিক সমকালের নির্বাহী সম্পাদক মুস্তাফিজ শফি, সাপ্তাহিক-এর নির্বাহী সম্পাদক শুভ কিবরিয়া, রাজনৈতিক বিশ্লেষক বখতিয়ার উদ্দীন চৌধুরী, রম্যলেখক আহসান কবির, কমিউনিকেশনন্স বিশেষজ্ঞ মাহমুদুর রহমান এবং আদিবাসী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষক সালেক খোকন।
ছবি: সাজ্জাদ হোসেন
/ইউআই/এমএনএইচ/