তৈমুরকে অব্যাহতি দিয়ে পরাজয়ের গ্লানি মুছতে চায় বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি অনুধাবন করতে পেরেছে তৈমুর আলম খন্দকারের বিজয়ের কোনও সম্ভাবনা নেই। এটি অনুধাবন করতে পেরে আগেই তাকে বিভিন্ন পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে পরাজয়ের যে গ্লানি, সেটি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করছে তারা।

মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সচিবালয়ে টেলিভিশন অ্যান্ড ডিজিটাল প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টেলিপ্যাব)-এর সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকরা তৈমুর আলমের অব্যাহতির বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন।

ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগ গঠিত হয়েছিল, আওয়ামী লীগ গঠিত হওয়ার এক বছর আগে। স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতা যুদ্ধে ছাত্রলীগের অবদান জাতির ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। দেশ স্বাধীনতা অর্জনের পরও বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে ছাত্রলীগ দেশ গঠনে ভূমিকা রেখেছে। ছাত্রলীগের কাছে আমার প্রত্যাশা হচ্ছে, ছাত্রলীগ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখবে। ছাত্রলীগের মধ্যে যেন কোনও অনুপ্রবেশকারী ঢুকে বদনাম করতে না পারে।’

নির্বাচন কমিশন গঠনে সংলাপ নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্যের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি যে সংলাপ করছেন এর কোনও বাধ্যবাধকতা ছিল না। নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রক্রিয়াটিকে স্বচ্ছ করার জন্যেই তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছেন। বিএনপি যে কথাগুলো বলে, সেগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়েও বলতে পারে। কিন্তু সেটি না করে ক্রমাগত বাইরে বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তারা যে গণতান্ত্রিক রীতিনীতিতে বিশ্বাস করে না, সেটিই প্রমাণ করছে।’

গণমাধ্যমকর্মী আইনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপির সময় গণমাধ্যমকর্মীদের শ্রমিক বানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেটি নিরসন করা প্রয়োজন ছিল। এ আইনে সেটি নিরসন করা হয়েছে। সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই মূল বিষয় ঠিক রেখে, অর্থাৎ যে বিষয়গুলো সাংবাদিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছিল—সেগুলো ঠিক রেখেই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। তবে এরপর কারও কোনও প্রশ্ন থাকলে এটি সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপন করা যায়। সংসদীয় কমিটি চাইলে সেখানে পরিমার্জন, পরিবর্ধন করতে পারে।’

নাট্য প্রযোজকদের উদ্দেশে মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘টেলিভিশন এমন একটি গণমাধ্যম যেটি মানুষের ওপর বিরাট প্রভাব ফেলে। এ জন্য আপনারা যখন কোনও নাটক, টেলিফিল্ম বা অনুষ্ঠান বানাবেন, সে ক্ষেত্রে দেশ বিনির্মাণ ও উন্নত জাতি গঠনের লক্ষ্যটি যেন ভাবনায় থাকে, সেই অনুরোধ জানাই।’ প্রযোজকরা নাট্যনির্মাণ ও বিপণন খাতের বিভিন্ন বিষয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বিশদ আলোচনা করেন। তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এ সময় বিদেশি চ্যানেলের বিজ্ঞাপনমুক্ত বা ক্লিনফিড সম্প্রচার বাস্তবায়ন, ক্যাবল নেটওয়ার্কে দেশি টিভি চ্যানেলগুলোর ক্রম নির্ধারণ, সমগ্র ভারতে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সম্প্রচার শুরু এবং দেশি বিজ্ঞাপনচিত্রে বিদেশি শিল্পীদের অংশগ্রহণের ওপর করারোপের মাধ্যমে দেশের শিল্প-সংস্কৃতি-গণমাধ্যমকে এগিয়ে নিতে তার মন্ত্রণালয়ের সফল ভূমিকার কথা তুলে ধরেন।