নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন: নারী এক, ভোটার দুই কেন্দ্রের!

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় মুশরাত জাহান মিমু নামের এক নারীর দ্বৈত ভোটার হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী শওকত হাশেম শকুর ভাতিজী তিনি। নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তার নামে দুটি কেন্দ্রের ভোটার হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। স্থানীয় ফিলোসোফিয়া স্কুল কেন্দ্রসহ ওই ওয়ার্ডের আরও একটি কেন্দ্রের ভোটার তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুশরাত জাহান জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) কিসমত হাশেমের পরিবারের সদস্য। কিসমত হাশেম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের আসামিও ছিল। তবে আদালত তাকে খালাস দিয়েছিলেন।

মুশরাতের দ্বৈত ভোটার হওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নজরে এসেছে। তিনি যাতে ভোট দিতে না পারেন সে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কমিশন।

নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তি দ্বৈত ভোটার হলেও তিনি ইভিএম-এ দু’বার ভোট দিতে পারবেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ও মুশরাতের চাচা শওকত হাশেম শকু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমি খানপুর কেন্দ্রের ভোটার। সে (মুশরাত) ফিলোসোফিয়া স্কুল কেন্দ্রের ভোটার। তার দ্বৈত ভোটার হওয়ার প্রশ্নই আসে না।

নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করলে বিষয়টি তার জানা নেই বলে জানান শওকত হাশেম।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয়পত্র অণুবিভাগের পরিচালক (অপারেশন্স) নুরুজ্জামান তালুকদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা এনআইডি সার্ভারে ৫ লক্ষাধিক দ্বৈত ভোটার চিহ্নিত করেছি। যারা না বুঝে দ্বৈত ভোটার হয়েছেন তাদের একটি এনআইডি রেখে অন্যটি বাদ দিয়ে দিই। তবে কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দ্বৈত ভোটার হয়ে থাকেন বলে প্রমাণ হলে, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ওই নারীর বিষয়টি যাচাই করে দেখা হবে।’

দ্বৈত ভোটার হলেও তিনি দুবার ভোট দিতে পারবেন না উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) বায়োমেট্রিক ম্যাচ করার পর ভোটাররা ভোট দেন। এক্ষেত্রে একজনের দ্বিতীয়বার ভোট দেওয়ার সুযোগ নেই। তার ভোট ইতোমধ্যে দেওয়া হয়েছে বলে সার্ভারে প্রদর্শন করবে।’

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও সংশ্লিষ্ট এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘যাচাই করে দেখেছি উনি দ্বৈত ভোটার। উনার ভোট স্টপ হয়ে যাবে। তিনি ভোট দিতে পারবেন না।’