সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিতে সম্মত ঢাকা ও ব্যাংকক

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও নিবিড় করার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে সম্মত হয়েছে ঢাকা ও ব্যাংকক। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং থাইল্যান্ডের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-প্রধানমন্ত্রী ডন প্রামোদউইনেইয়ের মধ্যে আজ টেলিফোন আলাপে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রামোদউইনেইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী যথাযথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রস্তাবিত ভারত-মিয়ানমার-থাইল্যান্ড ত্রিপক্ষীয় মহাসড়কে যোগদানের মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় ও আঞ্চলিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য ঢাকা ও ব্যাংককের মধ্যে বর্ধিত সংযোগের ওপর জোর দেন।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাই সরকারের ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের পণ্যের জন্য ডিএফকিউএফ স্কিমের প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। তিনি বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে থাই বিনিয়োগকারীদের আরও বেশি বিনিয়োগে উৎসাহিত করেন। একই সঙ্গে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশের দেওয়া বিভিন্ন বিনিয়োগ প্রণোদনা এবং ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের সুযোগ সম্পর্কে অবহিত করেন।

১১ লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের সাময়িকভাবে মানবিক কারণে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ যে চাপের সম্মুখীন হচ্ছে তা অবহিত করার সঙ্গে সঙ্গে ড. মোমেন রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানে থাইল্যান্ডের সহায়তা কামনা করেন। তিনি বৃহত্তর অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য এ বিষয়ে আসিয়ানের আরও সমন্বিত ও সক্রিয় সহায়তার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোভিড ১৯ মহামারী চলাকালীন থাই সরকারের উল্লেখযোগ্য সহায়তার, বিশেষ করে থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশ উভয় দেশের নাগরিক বহনকারী ১৭টি প্রত্যাবাসন ফ্লাইট সহজতর করার জন্য প্রশংসা করেন।

ড. মোমেন কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন উদ্ভাবন ও উৎপাদনে থাইল্যান্ডের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং বাংলাদেশে কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন। খবর বাসস।