মধ্যরাতে ফাঁকা শহীদ মিনার এলাকা

করোনাবিধি উপেক্ষা করে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। তবে রাত আড়াইটা নাগাদ ফাঁকা হয়ে পড়ে পুরো এলাকা। এসময় কাউকে আর ফুল দেওয়ার জন্য অপেক্ষমান দেখা যায়নি। এর আগে রাত ১২ টার পর থেকে ফুল দেওয়ার জন্য দীর্ঘ লাইন দেখা যায়।

ভাষা শহীদদের আত্মত্যাগ স্মরণে প্রতিবছর পালন করা হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। এদিন প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহউদ্দিন ইসলাম। এরপর প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শ্রদ্ধা জানান, তার সামরিক মেজর জেনারেল নকিব আহমদ চৌধুরী।

তারপর একে একে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। করোনা মহামারি শুরুর আগেও রাতভর মানুষের সমাগম দেখা গেলেও এবার চিত্রটি ভিন্ন।

রাত আড়াইটা নাগাদ শহীদ মিনারের প্রবেশমুখে অপেক্ষমান কাউকে দেখা যায়নি। তবে শহীদ মিনারের সামনে আছে বেশ কিছু মানুষ অবস্থান করছিলেন। তাদের বেশিরভাগই দাঁড়িয়ে আছেন এবং ছবি তুলছেন।

একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর একে একে শ্রদ্ধা জানান আওয়ামী লীগের পক্ষে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শাজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদফতর সম্পাদক সায়েম খান, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে গোলাম শাহরিয়ার তালুকদার, শিক্ষা মন্ত্রণালায়ের পক্ষে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান হাসান চৌধুরী নওফেল, বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদের পক্ষে জাতীয় পার্টির নেতা মুজিবুল হক চুন্নু ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

এছাড়া আরও শ্রদ্ধা জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-উপাচার্য(শিক্ষা) ড. এ এস এম মকসুদ কামাল ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই এসোসিয়েশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

পুলিশের পক্ষে ইনসপেক্টর অব পুলিশ ড. বেনজির আহমেদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোশিয়েশন, আনসার ও বিডিপি, র‍্যাব, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ আমিনউদ্দীন, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষে দীপু মনি ও হাসানুল হক ইনু ও ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সমন্বয়ক কামাল উদ্দিন নাসের, জাতীয় পার্টির পক্ষে জাতীয় পার্টির নেতা এজাজ আহমেদ ও অন্যান্য নেতারা, বাংলাদেশ টেলিভিশন, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাম ঐক্যফ্রন্ট, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, গণসংহতি আন্দোলন ও অন্যান্য সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনসমূহ।