‘ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশি নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে’

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘ইউক্রেনে আটকে পড়া বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের জাহাজ “এমভি বাংলার সমৃদ্ধি”র নাবিকদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশি নাবিকদের উদ্ধার বা নিরাপদে সরিয়ে নিতে কূটনৈতিক পর্যায়ে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।’ বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ওই জাহাজে ২৯ জন নাবিক ছিলেন। থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানকে হারিয়ে ফেলায় এখন আমাদের ২৮ জন নাবিক আছেন। নিহত হাদিসুরের মরদেহ আমাদের সংরক্ষণে আছে। মরদেহ দেশে আনার বিষয়টি নির্ভর করছে যুদ্ধ পরিস্থিতির ওপর। আমরা হাদিসুরের পরিবারের পাশে দাঁড়াবো। পরিবারের জন্য যা যা করণীয় সরকারের পক্ষ থেকে তা করা হবে। হাদিসুরের পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে। তাদের সমবেদনা জানিয়েছি।’

আটকে পড়া নাবিকদের নিরাপত্তার বিষয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমি, মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী এবং বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কমডোর সুমন মাহমুদ সাব্বির পোল্যান্ডে বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তা এবং জাহাজের ক্যাপ্টেনের সঙ্গে কথা বলেছি। নাবিকদের নিরাপত্তাই প্রথম কথা। জাহাজের ক্রুদের আতঙ্কিত হয়ে ভুল সিদ্ধান্ত না নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তাদের সাহস দেওয়ার চেষ্টা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে উদ্বিগ্ন আছেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন, নৌপরিবহন অধিদফতর ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে।’

তিনি বলেন, ‘যুদ্ধের নির্মমতার শিকার হয়েছে বাংলাদেশের মানুষও। আমরাও ধর্ষণ, হত্যা ও নিপীড়নের শিকার। রণক্ষেত্রে কোনও নিয়ম মানা হয় না। দেশে দেশে যুদ্ধে সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছে, শিশুরা মারা যাচ্ছে। আমাদের বাণিজ্যিক জাহাজ যুদ্ধে আক্রান্ত হওয়ার কথা ছিল না, কিন্তু হয়ে গেলাম। এই মুহূর্তে কূটনৈতিকভাবে যতটুকু কথা বলা দরকার, আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে করছি। যুদ্ধের মিসাইলে জাহাজটি আক্রান্ত হয়েছে। আমরা যখন জানবো কারা আক্রমণ করেছে, তখন সে ব্যাপারে কথা বলবো।’