সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের ৫০ বছর পূর্তি

সুইজারল্যান্ড ও বাংলাদেশের মধ্যকার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্ণ হলো আজ রবিবার (১৩ মার্চ)। পাঁচ দশক আগে ঠিক এই দিনে সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদান করে। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই বিশেষ মাইলফলক অতিক্রম উপলক্ষে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি ইগনাজি ওকাসিস।

দূতাবাস থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শুভেচ্ছা বার্তায় সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি ইগনাজি ওক্যাসিস বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যকার দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতার কথা উল্লেখ করার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্রমাগত বিস্তৃতি ও গভীর করার ওপর জোর দেন।

দুই দেশের এই অংশীদারিত্ব ‘আগের যেকোনও সময়ের চেয়ে বেশি শক্তিশালী’ উল্লেখ করে ইগনাজি ওকাসিস ভবিষ্যতে সহযোগিতার মূলক্ষেত্র হিসেবে করোনা মহামারি থেকে পুনরুদ্ধার, শান্তি ও সমৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নকে চিহ্নিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিগত পাঁচ দশক ধরে, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের এক নির্ভরযোগ্য অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন সহযোগী হয়ে কাজ করছে সুইজারল্যান্ড। দেশটি বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তা বাবদ ১৩০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি বিনিয়োগ করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অনুদানও দিয়েছে। উন্নয়ন সহযোগিতার ক্ষেত্রে সুইজারল্যান্ড প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কার্যকর ও কল্যাণকর এমন উদ্ভাবনী প্রকল্পগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে আসছে।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেও দ্রুত প্রবৃদ্ধি সাধিত হয়েছে এবং বছর প্রতি বর্তমানে এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১০ কোটি মার্কিন ডলারেরও বেশি বলেও জানানো হয়। বলা হয়, বর্তমানে সুইস বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই বাংলাদেশে তাদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং গুরুত্বপূর্ণ আর্থ-সামাজিক খাতে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য, প্রযুক্তি এবং সেবা সরবরাহ করছে।

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য হতে আগ্রহী সুইজারল্যান্ড বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করার লক্ষ্যে আশাবাদী।