এভিডেন্স অ্যাক্ট-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা

বিচারকার্যে সুষ্ঠু ও কার্যকরভাবে সাক্ষ্যদানের লক্ষ্যে বিদ্যমান আইন সংশোধন করে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবিত এভিডেন্স (অ্যামেন্ডমেন্ট) অ্যাক্ট-২০২২-এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (১৪ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে খসড়াটির অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে নিয়মিত এই বৈঠকে যোগ দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন, কোভিডের পর থেকে অনলাইনে মামলা মোকদ্দমা চলছিল, এর ফলে সাক্ষ্য-প্রমাণ সব অনলাইনেই আসছিল। কিন্তু আমাদের এভিডেন্স অ্যাক্টে আবার এরকম ডিজিটাল এভিডেন্সের সরাসরি কোনও বিধান ছিল না। কেউ মামলায় হেরে যদি উচ্চ আদালতে আপিল করতো, সেক্ষেত্রে আইনি কিছু জটিলতা হওয়ার সুযোগ ছিল। এটা অনেকদিন ধরেই আলোচনায় ছিল, সেজন্য তারা এটা নিয়ে এসেছেন। এখন থেকে ডিজিটাল যে এভিডেন্স, সেগুলোও গ্রহণ করা হবে।’

সচিব বলেন, কেউ যাতে ভুয়া বা জাল সাক্ষ্যপ্রমাণ ডিজিটাল মাধ্যমে হাজির করতে না পারে, আদালত যদি মনে করে যে কোথাও আপত্তিজনক কিছু আছে, অথবা কেউ যদি আপত্তি তোলে, তাহলে ওই সাক্ষ্য-প্রমাণের ফরেনসিক পরীক্ষা করা যাবে। এটা করলে বিষয়গুলো স্পষ্ট হয়ে যাবে। কেউ একটা ম্যানুপুলেটেড এভিডেন্স দিলো, এটা কিন্তু বাঁচার কোনো উপায় নাই। কারণ ফরেনসিক করলেই ধরা পরে যাবে। বিশেষ করে ডকুমেন্টের ফরেনসিক কিন্তু দুই চার মিনিটেই করা যায়। 

তবে ভিডিও ক্ষেত্রে একটু বেশি সময় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাও খুব বেশি সময় লাগে না। আমাদের পর্যাপ্ত ল্যাবরেটরি আছে দেশে।’

যে ডিজিটাল সাক্ষ্য উপস্থাপন করা হবে সেগুলো যদি কোর্ট বা কোনো পক্ষ মনে করে আপত্তি আছে, তাহলে ফরেনসিক করে নিতে পারবেন বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি বলেন, ‘টুইস্ট করার কোনো উপায় নেই। কেউ যদি টুইস্ট করে, তাহলে আমাদের দণ্ডবিধির ২১১ ধারায় মিথ্যা সাক্ষ্যের বিষয় আছে আর ডিজিটাল অ্যাক্টেরও ৫৭ ধারা আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’