বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক

উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে সোমবার (১৪ মার্চ) প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক হয়। বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ও উজবেকিস্তানের পক্ষে সে দেশের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফুরকাত আহমেদোভিচ সিদ্দিকভ বৈঠকে নেতৃত্ব দেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব উভয় দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে বর্তমান আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে যৌথ ও অংশীদারিত্বমূলক বিনিয়োগের ওপর জোর দেন।

উজবেকিস্তানের গ্যাস ব্যবহার করে টেক্সটাইল, ফার্মাসিউটিক্যাল, আরএমজি প্রভৃতি ক্ষেত্রে যৌথ বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্প ও কারখানা স্থাপনের ওপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন। এ ছাড়াও তিনি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল, দ্বৈতকর পরিহার, সাংস্কৃতিক বিনিময়, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের ৩০ দিনের ফ্রি ভিসা চালু, দু’দেশের মধ্যে কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের ভিসা ওয়েভার চুক্তি, উভয় দেশের মধ্যে শিক্ষা ও কারিগরি ক্ষেত্রে সফর বিনিময়সহ নিয়মিত ফরেন অফিস কনসালটেশন বৈঠক আয়োজন এবং প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকগুলো দ্রুত স্বাক্ষরের জন্য উজবেক পক্ষকে তাগিদ দেন।

পররাষ্ট্র সচিব তার প্রতিপক্ষকে ঢাকায় উজবেকিস্তানের দূতাবাস স্থাপনের বিষয়েও অনুরোধ করেন।                 

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পূর্ব ইউরোপ ও  সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক শিকদার বদিরুজ্জামান, দূতাবাসের মিনিস্টার নৃপেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ যোবায়েদ হোসেন প্রমুখ।

উজবেকিস্তানের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন উজবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকা বিভাগের মহাপরিচালক ওইবেক ইসানভ, চুক্তি ও আইন বিভাগের মহাপরিচালক জে. রাজাবভ।

উভয়পক্ষের সম্মতিতে পরবর্তী ফরেন অফিস কনসালটেশন-এর বৈঠক ২০২৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।