নির্বাচন ৫০-৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হলেই সফলতা: সিইসি

৫০ থেকে ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হলে তাতেই সফলতা দেখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। শতভাগ সফলতা কখনও সম্ভব না জানিয়ে বিশিষ্ট নাগরিকদের আলাপের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ বা ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা। ’

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

দেশের নির্বাচন নিয়ে বিবর্তনটা ইতিবাচক হয়নি জানিয়ে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘সহিংসতা ব্যাপকতা লাভ করে। এটা হলে পরে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভোট দিতে পারে না। আপনারাও বলেছেন, সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এটা সত্য কথা আমাদের সাহস থাকতে হবে। সাহসের পেছনে থাকতে হবে সততা। আমাদের হারানোর কিছু নেই। পাওয়ার কিছুও নেই। জীবনের শেষ প্রান্তে আমরা ইতিবাচক যদি কিছু করতে পারি, আপনাদের সাজেশনের আলোকে নির্বাচনটা যদি অবাধ ও সুষ্ঠু করা যায় সবার অংশগ্রহণে, সেটা একটা সফলতা হতে পারে।’

১০০ শতাংশ সফলতা হয়তো কখনও সম্ভব না দাবি করে সিইসি বলেন, ‘কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা।’

বিগত নির্বাচনে বেশ কিছু কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, কেউ বলছেন ভোট দিচ্ছেন না। তবে নারায়ণগঞ্জের ইলেকশন খুব সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে এটা একটা বড়দিক বলে মনে করেন তিনি।

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর বিপক্ষে অনেকেই বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটার মধ্যে কোনও অসুবিধা আছে কিনা, এটা ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত নয়। মেশিনের মাধ্যমে কোনও ডিজিটাল কারচুপি হয় কিনা, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে, কেন করলো সেটা গবেষণা করা উচিত।’   

ইভিএমে রিকাউন্টিং প্রবলেম আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যদি কোনও কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে রিকাউন্টিং করা যাবে কিনা, এটার কোনও ব্যবস্থা আছে কিনা, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করে একটা ধারণা নিতে হবে।’ নির্বাচনে যাতে ধর্মের ব্যবহার না হয়, সেটাও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো বলে যোগ করেন তিনি।

ভোটের আগে এবং ভোটের পরে ভোটারদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘ভোটার সেন্টারে যেতে পারবে কিনা?  ভোটার তার সেন্টার থেকে বের হয়ে নিরাপদ কিনা? ওসি-ডিসিদের মাধ্যমে ওই জায়গাটা দেখতে পারলে ভালো হয়।’

নির্বাচন কমিশনের বিধিবিধানের অভাব নেই। কিন্তু এনফোর্সমেন্টের ঘাটতি আছে। বাস্তবে ঘাটতি আছে জানিতে তিনি বলেন, ‘এনফোর্সমেন্ট ক্যাপাসিটিটা আরও বর্ধিত করতে পারি কিনা?’

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘এটা একটা কষ্টসাধ্য কাজ। আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, আমরা চেষ্টা করবো।’