তুরস্কে মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

উৎসবমুখর আবহে নানা আয়োজনে তুরস্কের আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসে মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকী ও জাতীয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

শনিবার (২৬ মার্চ) সকালে তুরস্কে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রমের শুরু হয়।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দূতাবাসের ৭১ মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন সবাই। রাষ্ট্রদূতের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা পবিত্র কুরআন থেকে তিলওয়াত করে শোনান এবং মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করেন।

দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করেন রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন দূতাবাসের মিনিস্টার ও মিশন উপ-প্রধান শাহ্নাজ গাজী।

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে শিশু-কিশোররা দেশাত্মবোধক ছড়া আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করে। এছাড়া বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের ওপর প্রমান্যচিত্র প্রদর্শিত হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রদূত মান্নান ও শাহ্নাজ গাজী বাংলাদেশের স্বাধীনতার ওপর পৃথক কবিতা আবৃত্তি করে শোনান। পরে মুক্তিযুদ্ধের ওপর নির্মিত একটি চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট বর্ণনায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য নেতৃত্ব এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতায় তাঁর অতুলনীয় অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন। পরে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রসরতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন।

তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি, প্রতিরক্ষা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পর্কোন্নয়নের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে রাষ্ট্রদূত মন্তব্য করেন এবং সকলেই এতে সামিল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। পরে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুদের মাঝে উপহার বিতরণ করেন।