স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে বিজিবি

যথাযোগ্য মর্যাদা ও উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ৫১তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

দিনের শুরুতে ফজরের নামাজের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত এবং দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়ন কামনা করে পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবির সকল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

শনিবার (২৬ মার্চ) বিজিবি’র জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজিবি সদর দফতর পিলখানায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। একই সময়ে বিজিবি'র অন্যান্য সকল ইউনিটে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন করা হয়। 

সকাল পৌনে সাতটায় বিজিবি মহাপরিচালক পিলখানার স্মৃতিসৌধ ‘সীমান্ত গৌরব'র বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এসময় বিজিবি'র একটি সুসজ্জিত চৌকস দল ‘গার্ড অব অনার' প্রদান করে। এর পাশাপাশি রাঙামাটির নানিয়ারচরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফ এবং যশোরের শার্শা উপজেলার কাশীপুরে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের সমাধিতে সংশ্লিষ্ট রিজিয়ন কর্তৃক বিজিবি মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

দিবসের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিজিবি সদস্যদের মাঝে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন, ‘বঙ্গবন্ধুর বজ্রকণ্ঠ এবং স্বাধীনতা' শীর্ষক রচনা প্রতিযোগিতা, বিজিবি'র সকল ইউনিটে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন এবং সন্ধ্যায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত পিলখানায় বিজিবি জাদুঘর সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় বিজিবি'র বাদকদল কর্তৃক বাদ্য পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যার পর পিলখানাসহ সারাদেশে বিজিবি'র সকল গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বর্ণিল আলোকে সজ্জিত করা হয়।

এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের বেনাপোল-পেট্রাপোল, বাংলাবান্ধা-ফুলবাড়ী ও আখাউড়া-আগরতলা সমন্বিত চেকপোস্টগুলোতে (আইসিপি) বিজিবি-বিএসএফ কর্তৃক জমকালো যৌথ ‘রিট্রিট সিরিমনি' প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়।