রাশিয়া নিয়ে রেজুলেশনে ভোট দানে বিরত বাংলাদেশ

জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে রাশিয়ার সদস্যপদ স্থগিত বিষয়ক এক রেজুলেশন ভোট দান থেকে বিরত থেকেছে বাংলাদেশ। রেজুলেশনের পক্ষে ভোট দিয়েছে ৯৩টি দেশ, বিপক্ষে ২৪টি দেশ ভোট দিয়েছে। বাংলাদেশসহ ৫৮টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এই ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৩ সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে প্রস্তাবটি ভোট দেওয়া দেশগুলোর দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন পাওয়ায় রাশিয়াকে জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে ভোটদানে বিরত দেশগুলোকে গণনা করা হয়নি।

এর আগে ২ মার্চ ইউক্রেনে আগ্রাসন সংক্রান্ত রেজুলেশনে ১৪১টি পক্ষে, পাঁচটি বিপক্ষে এবং ৩৫টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। অন্যদিকে ২৪ মার্চ ইউক্রেনের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আনা একটি রেজুলেশনে ১৪০টি দেশ পক্ষে, পাঁচটি বিপক্ষে এবং ৩৮টি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল।

বৃহস্পতিবার আনা রেজুলেশনের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ ইউরোপের প্রায় সব দেশ, ভোট দেয়। বিপক্ষে ভোট দিয়েছে রাশিয়া, চীন, বেলারুশ, কিউবা, ইরানসহ আরও কয়েকটি দেশ।

দক্ষিণ এশিয়ার আটটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশসহ সাতটি দেশ ভোট দানে বিরত ছিল। অন্যদিকে আফগানিস্তান অনুপস্থিত ছিল। এর আগে প্রথম রেজুলেশনে বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থাকলেও দ্বিতীয় রেজুলেশনে পক্ষে ভোট দেয়।

আসিয়ানের ১০টি দেশের মধ্যে মিয়ানমার ও ফিলিপিন্স পক্ষে ভোট দেয়। অন্যদিকে ভিয়েতনাম ও লাও পিডিআর বিপক্ষে ভোট দেয়। অন্যান্য দেশগুলো ভোট দানে বিরত ছিল। মধ্যপ্রাচ্যের জিসিসিভুক্ত ছয়টি দেশের সবগুলোই ভোট দানে বিরত ছিল।

এক পাতার রেজুলেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনীত ২ এবং ২৪ মার্চের রেজুলেশনকে বিবেচনায় নেওয়া হয় এবং মানবাধিকার কাউন্সিলে আনিত ৪ মার্চ রেজুলেশনের উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশের অবস্থান

ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে বিভিন্ন সংস্থায় বিভিন্ন ধরনের রেজুলেশন আনা হচ্ছে। এর বেশিরভাগ রেজুলেশনে বাংলাদেশ ভোট দানে বিরত থাকছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, রেজুলেশনের মেরিট দেখে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বেশকিছু অরাজনৈতিক সংস্থায় ইউক্রেন নিয়ে রেজুলেশন আনা হয়েছে এবং হচ্ছে। এরমধ্যে মিলিটারি স্পোর্টস কাউন্সিল, আইটিইউ, ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনসহ আরও সংস্থা আছে। আমরা মোটামুটিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান রেজুলেশন আনলে সরকার ভোট দানে বিরত থাকবে।