পাঁচ স্তরের নিরাপত্তায় ‘স্বাভাবিকতা’ ধরে রাখার বার্তা

নির্মল করার বার্তা নিয়ে বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে এবার শোভাযাত্রার পথ ছিল ভিন্ন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয় এর পথ। তাতে ছিল তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সামনে র‍্যাব, সোয়াট টিম, তারপর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) এবং তৃতীয় স্তরে পুলিশ সদস্যরা অবস্থান করছিলেন। এছাড়া সাদা পোশাকে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।

মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে চতুর্দিকে ছিল নিরাপত্তা বলয়। যার ফলে শোভাযাত্রা শুরু হওয়ার পর মাঝখান দিয়ে কেউ প্রবেশ করতে পারেনি। শোভাযাত্রায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের টিমও তৎপর ছিল। এছাড়া স্কাউটস এবং বিএনসিসির সদস্যরাও এখানে শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।

শোভাযাত্রার পুরো পথে সিসিটিভি ক্যামেরা ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। গতবারের মতো এবারও মুখোশ ব্যবহার ও ভুভুজেলা বাজানো নিষিদ্ধ ছিল। নিরাপত্তার জন্য রমনা পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ আশপাশের এলাকায় কেন্দ্রীয় রাস্তা বন্ধ করে রাখা ছিল।277593036_551953746243254_2940205831663651031_n

মঙ্গল শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য অনেকটা প্রার্থনা সংগীতের মতো। করোনা মহামারির কারণে আমাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ছন্দ হারিয়ে গিয়েছিল। মহামারি কাটিয়ে আমাদের জীবন পুনরায় স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। সেই স্বাভাবিকতা ধরে রাখার প্রত্যাশায় ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’— গানের চরণটিকে এবারের শোভাযাত্রার প্রতিপাদ্য করা হয়েছে। রজনীকান্ত সেনের গান থেকে ওই পঙক্তিটি নেওয়া। বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) এভাবেই ১৪২৯ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।

নিরাপত্তা প্রসঙ্গে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) কৃষ্ণ পদ রায় বলেন, মঙ্গল শোভাযাত্রা উপলক্ষে ডিএমপি ঝুঁকির সম্ভাবনাকে মাথায় রেখে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে। সকল ধরণের ঝুঁকি মোকাবিলায় ডিএমপি সর্বদা প্রস্তুত। কোনও দুষ্কৃতিকারী কোনও অনিষ্ট করতে পারবে না। আমাদের সাদা পোশাক আছে, ইউনিফর্মের লোকজন আছে, টেকনিক্যাল সাপোর্ট আছে, সিসিটিভি সাপোর্ট আছে, ব্যারিকেড আছে, গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ওয়াচ টাওয়ার আছে। সব মিলিয়ে আমরা পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।