বাড়তি উৎপাদনে শ্রমিকের হক দিতে হবে: পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, প্রতিষ্ঠানের বাড়তি উৎপাদনে শ্রমিকের হক দিতে হবে। সেটা না পেরে মাঝারি পথ অবলম্বন করা হয়। কিন্তু মালিকপক্ষকে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

শনিবার (১৪ মমে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন কর্তৃক আয়োজিত "প্রসঙ্গ জাতীয় বাজেট: শ্রমিকদের জন্য কেমন বাজেট চাই" শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

এম এ মান্নান বলেন, 'শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করতে যেসকল বিধান রয়েছে সেগুলো আমরা অনেক সময় প্রয়োগ করতে পারি না। শ্রমিকের পূর্ণ পাওনা আমরা দিচ্ছি বলে আমি বিশ্বাস করি না— একদমই বিশ্বাস করি না। যেটা আছে সেটা একটা আপসমূলক অবস্থা। আমরা এই আপসমূলক অবস্থাকে আর একটু মসৃণ করার, টেকসই করার চেষ্টা করছি।'

শ্রমিকদের রেশনিং বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, রেশনিং বিরাট একটি ব্যবস্থাপনার বিষয়। আমাদের দেশে যত বেশি প্রসার, তত বেশি লিকেজ। এটা আমরা স্বীকার করি। এই যে প্রণোদনা হিসেবে সরকার যে কোটি টাকা ছুড়ে দিলো। সেটা পদে পদে, চুইয়ে চুইয়ে শেষ পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। রেশনিংয়ে একটা কল্যাণ আছে, আমি মানি। কিন্তু এটাকে পৌঁছানোর ব্যাপারে আমার সংশয় আছে। আরও সহজ উপায় আমার মাথায় আছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বার বার শ্রীলঙ্কা-শ্রীলঙ্কা বলা হচ্ছে, কিচ্ছুই হবে না। যদি না শ্রীলঙ্কাকে মালা দিয়ে এখানে বয়ে আনা হয়। যদি কেউ আনতে চায়, এটা তাদের ব্যাপার। এটা বাংলার মানুষের স্বার্থে হবে না। কেউ রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করবেন না। রাজনৈতিক অস্থিতিশীল তৈরি হলে আখেরে আপনাদের (বিরোধীতাকারীদের), আমাদের সকলের ক্ষতি হবে।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাইলের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএ’র সভাপতি মো. ফারুক হোসেন, মো. হাতেম, সিপিডির পরিচালক গোলাম মোয়াজ্জেম, ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি আবু জাফর সূর্য প্রমুখ।