অস্ট্রেলিয়ায় নির্বাচনে জয়ী অ্যান্থনি আলবানিজকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে জয়ী হওয়ায় লেবার পার্টি নেতা অ্যান্থনি নরম্যান আলবানিজকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন।

রবিবার (২২ মে) অভিনন্দনবার্তায় তিনি স্বচ্ছ জ্বালানি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সমুদ্র শাসন এবং ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দনপত্রে বাংলাদেশ সরকার ও জনগণ এবং ব্যক্তিগতভাবে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ায় লেবার পার্টির নেতা অ্যান্থনি নরম্যান আলবানিজকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দনপত্রে গভীর বিশ্বাসের সঙ্গে বলেন, লেবার পার্টির এই বিজয় এন্থনি নরম্যান আলবানিজের নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়াকে অন্তর্ভুক্তি, শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে দেশটির জনগণের আস্থারই প্রতিফলন।

বাণিজ্য, অর্থনীতি, সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানোর মাধ্যমে দু’দেশের সম্পর্ক গভীর হয়েছে এবং সময়ের সঙ্গে বন্ধন আরও জোরদার হয়েছে— বলে পুর্নব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, স্বচ্ছ জ্বালানি, সামুদ্রিক নিরাপত্তা, সমুদ্র শাসন এবং ব্লু ইকোনমি বিষয়ে সহযোগিতায় অপার সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক সমর্থন এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে উদার সহায়তার কথা উল্লেখ করেন।

দুই দেশে বন্ধুত্বের ৫০ বছর উদযাপনের প্রেক্ষাপটে তিনি বলেন, আমরা পারস্পরিক স্বার্থ, পরিপূরকতা এবং আন্তনির্ভরতার নতুন ক্ষেত্রগুলো খুঁজে বের করবো, যাতে আমাদের সম্পর্কগুলো মূল অংশীদারিত্বের পর্যায়ে উন্নীত হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুদেশ একসঙ্গে ভারত মহাসাগর অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বাড়াতে এবং নিয়মভিত্তিক আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা রক্ষা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন বার্তায় বলেন, আপনি সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলে আমি আন্তরিকভাবে আশা করছি। অ্যান্থনি ঢাকা সফরে আসলে এটি হবে ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ সফর করা সেদেশের প্রধানমন্ত্রী গফ হুইটলামের পর অস্ট্রেলিয়ার কোনো প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশে দ্বিতীয় সফর।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, এই ধরনের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরও দৃঢ় এবং দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ ও সমসাময়িক আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সমস্যাগুলোর বিষয়ে একটি সাধারণ বোঝাপড়া তৈরিতে সাহায্য করবে।

সূত্র: বাসস