‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শস্য সরবরাহে ভয়ঙ্কর ঘাটতি দেখা দেবে’

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে হবে। এর প্রভাব শুধু পশ্চিমা বিশ্বে নয়, সারা পৃথিবীতে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সোমবার (২৩ মে) রাতে সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিক ফোরামের ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে একটি সেশনে একথা বলেন তিনি।  এই যুদ্ধের ফলে শস্য সরবরাহে যে ঘাটতি দেখা দেবে- সেটি ভয়ঙ্কর হবে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেন শাহরিয়ার আলম।।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুদ্ধটি শুধুমাত্র পশ্চিমা বিশ্ব বা ইউরোপের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি পৃথিবীর ১৯৬টি দেশকে প্রভাবিত করছে। যুদ্ধ অবশ্যই থামাতে হবে।

সেশনে মার্কিন কংগ্রেসম্যান বিল কিটিং, ইউক্রেন সংসদ সদস্য জুলিয়া ক্লিমেঙ্কো, হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের সিনিয়র ফেলো পলা জে ডবরিয়ানস্কি অংশগ্রহণ করেন। কার্লাইল গ্রুপের চেয়ারম্যান ডেভিড এম রুবেনস্টেইন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

যুদ্ধ নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, মানবিক কারণে আমরা ইউক্রেনকে জাতিসংঘ রেজুলেশনে সমর্থন দিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমাদের ইতিহাস বুঝতে হবে। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছি। আমরা যুদ্ধের প্রকৃত ক্ষতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল। সেইজন্য ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ পররাষ্ট্র নীতি আমরা অনুসরণ করে থাকি।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে পশ্চিমাদের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, আমার মতে যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে পশ্চিমারা আরও ভালো কিছু করতে পারতো।

এই যুদ্ধে ইউক্রেনের ওডেসা বন্দরে এক বাংলাদেশি মারা গেছেন, একটি জাহাজ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তিন মাসে আগে ওই অঞ্চলে কোনও শেলিং ছিল না। আমরা এখনও নিশ্চিত না কার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশে যদি জনমত জরিপ করা হয় তবে কত শতাংশ রাশিয়াকে সমর্থন করবে এবং কত শতাংশ ইউক্রেনকে সমর্থন করবে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি বলা খুব কঠিন। পাঁচ দশক আগে আমরা যুদ্ধের কারণে অনেক কষ্ট স্বীকার করেছি, বাংলাদেশের জনগণ যুদ্ধের বিপক্ষে। সাধারণ মানুষ কষ্ট পাক- এটি তারা চায় না।