ডাটা সুরক্ষা আইনে অংশীজনদের যৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণ করা হবে: আইনমন্ত্রী

ডাটা সুরক্ষা আইন  প্রণয়নের ক্ষেত্রে স্টেক হোল্ডারদের যৌক্তিক পরামর্শ অবশ্যই গ্রহণ করা হবে। তবে কোনও অযৌক্তিক পরামর্শ গ্রহণ করা হবে না বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।

রবিবার (২৯ মে) ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জাতি) চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেটদের জন্য আয়োজিত ১৪৫তম রিফ্রেসার কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সারা বিশ্বে ডাটা সুরক্ষার ব্যাপারে কী কী আইন আছে, সেগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সবার কাছে গ্রহণযোগ্য এবং যে উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হচ্ছে, সেই উদ্দেশ্য যাতে সাধিত হয়, সেই আইন করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডাটা সুরক্ষা আইনের খসড়া চূড়ান্তকরণের আগে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ অন্যান্য  স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’ এর আগে তিনি জুন মাসের এক তারিখে আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেও আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য পদে থাকার সুযোগ আছে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘এই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের ২-৩টি রায় আছে। আমার জানা মতে, হাজী সেলিম এই মামলায় দণ্ডের বিষয়ে আপিল বিভাগে আপিল করেছেন। যতক্ষণ পর্যন্ত এই আপিলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত সংসদ সদস্য পদ ‘ইফেক্টেড’ হয় না, এটাই কিন্তু রায়ে আছে।’’

এর আগে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘বাক স্বাধীনতা ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা বন্ধ করার জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়নি। ডিজিটাল মাধ্যমে যেসব অপরাধ হচ্ছে, সেগুলো দমন করার জন্য এই আইন করা হয়েছে।’

মামলার জট কমানোর গুরু দায়িত্ব বিচারকের এ কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘এই জট কমানোর ব্যাপারে বিচারকদের আরও উদ্যোগী হতে হবে।’

আনিসুল হক আরও বলেন, ‘মামলার জট কমানোর ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২০০৯ সালের আগে বিচারক ছিল মাত্র সাত থেকে আটশ’। এখন এ সংখ্যা উনিশ’র ওপরে। এ কয় বছরে ১২২৫ জন বিচারক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। বিচারকদের যানবাহন সমস্যা সমাধানের পথে। অতি শিগগিরই তাদের জন্য জেলা পর্যায়ে বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। ডিজিটাইজেশন করা হচ্ছে। করোনার অতিমারির মধ্যে অধ্যাদেশ জারি করে ভার্চুয়াল আদালত পরিচালনা করা হয়েছে।’

বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ার বক্তৃতা করেন।