সংসদে নতুন শিক্ষানীতির সমালোচনায় সাবেক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী

সরকার প্রণীত ২০১০ সালের শিক্ষানীতি বাস্তবায়ন পুরোপুরি না করে ২০২০ সালের খসড়া শিক্ষানীতি প্রণয়ন করায় সংসদে সমালোচনা করেছেন সরকার দলীয় সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, ‘এখন আবার নতুন আরেকটা শিক্ষানীতি আমাদের ঘাড়ে চাপছে। আমি নীতিটা ভালোভাবে পড়েছি, সেই শিক্ষক পাবেন কোথায়? সেই শিক্ষক কিন্তু এখনও আমরা সৃষ্টি করতে পারি নাই।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে কথা বলেন তিনি।

২০১০ সালে শিক্ষানীতি করা হয়েছিল উল্লেখ সাবেক প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই দেশে বঙ্গবন্ধুর সময়ে করা ড. কুদরত-ই খুদা শিক্ষানীতি আলোর মুখ দেখে নাই। আমরা ২০১০ সালে যে শিক্ষানীতি করলাম, প্রাথমিক শিক্ষা হবে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত বাধ্যতামূলক, মাধ্যমিক হবে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। সেটাও আলোর মুখ দেখলো না।

তিস্তা নদীকে দুঃখের কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ নদীকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রী তিনবিঘা করিডোর উদ্বোধন করতে গিয়ে ওয়াদা দিয়েছিলেন তিনবিঘা এক্সপ্রেস বুড়িমারী থেকে ঢাকা পর্যন্ত আসবে। ১০ বছর গেলো। বিভিন্ন জায়গায় আমি প্রায় ১০০ বার গেছি। কিন্তু আমার তিনবিঘা এক্সপ্রেস আর আলোর মুখ দেখলো না। জানি না আমার জীবদ্দশায় এটি আর দেখতে পাবো কীনা।

বিধবা ভাতা, ভিক্ষুক পুনর্বাসন ভাতা বৃদ্ধির দাবি করে তিনি বলেন, এগুলো দিয়ে কিছু হয় না। এটা কিন্তু দেখতে হবে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখা হাসিনা ৩০০ টাকা মুক্তিযুদ্ধ ভাতা দিয়ে শুরু করেছিলেন, এখন সেটা ২০ হাজার টাকা। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিনামূল্যে সব ধরনের চিকিৎসা সেবার দেওয়ার দাবি করেন।