ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ

ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার (৩ জুলাই) ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকের পর বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব নির্দেশনা দেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে সচিব বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার ফলে যেসব ট্রান্সপোর্ট হবে সেটা স্ট্রাটেজিক ট্রান্সপোর্ট পর্যায়ে অনুমোদন করা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে, যেনও ঢাকা শহরে কোনও গাড়ি না ঢোকে।

সচিব বলেন, ইস্ট-ওয়েস্ট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের ফিজিবিলিটি স্টাডি শেষে ডিপিপি হচ্ছে। এটি হলে হেমায়েতপুরের ওখান থেকে এলিভেটেড রাস্তা যাবে। এটা কেরানীগঞ্জে এসে উপর দিয়ে ক্রস করবে সেকেন্ড লেভেলে। ঢাকা-মাওয়া সড়ক ফাস্ট লেভেলে আছে। ওখানে ইন ও আউট থাকবে। আর একটু ডাউনে গিয়ে পোস্তগোলার ওদিকে ক্যাবল স্টেট ব্রিজ হবে যেন পিয়ার না পড়ে। এরপর পাগলা ও ফতুল্লাকে ডানে রেখে স্টেডিয়ামের পাশ দিয়ে শীতলক্ষ্যাকে ক্রস করবে ক্যাবল স্ট্রেট ব্রিজ। সেখানে কোনও পিয়ার হবে না, সেটা লাঙ্গলবন্দ দিয়ে উঠবে। আর ওখান থেকে মদনপুর দিয়ে একটা লিংক থাকবে, যারা সিলেটে বা ময়মনসিংহের দিকে যাবে তারা ওদিক দিয়ে বের হয়ে যাবে।

তিনি জানান, ‘আর চট্টগ্রাম-কক্সবাজারে যারা যাবেন তারা লাঙ্গলবন্দ দিয়ে বের হয়ে চলে যাবেন। তখন নারায়ণগঞ্জের গাড়ির বড় অংশ মেইন রোডে ঢুকবে না। এখান দিয়ে এসে পোস্তগোলা বা ঢাকার দিকে— যেখানে সুবিধা হবে। মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটের কাছে একটা লিংক থাকবে। এছাড়া গাবতলী থেকে একটা লিংক দেওয়া হবে, যেনও গাবতলীর বাস শহরে ঢোকার প্রয়োজন না হয়।’

তিনি আরও বলেন, এটার ডিপিপি হচ্ছে। খুব দ্রুত ডিপিপি শেষ হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন দ্রুত হয়ে যাবে বলে জানান তিনি।