চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কর্মকর্তা‌দের সহযোগিতা চাইলেন নতুন গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারকে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সংগঠন অফিসার ওয়েলফেয়ার কাউন্সিল।

বুধবার (১৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় পেশাদারিত্ব বাড়াতে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংককে বুদ্ধিবৃত্তিক ও প্রকৃত নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে নতুন গভর্নর কর্মকর্তাদের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে অফিসার ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের সভাপতি এইচ এম দেলোয়ারসহ সংগঠনের নেতারা গভর্নরের হাতে ক্রেস্ট, ফুলের তোড়া দিয়ে সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, এ কে এম সাজেদুর রহমান খান, বিএফআইইউ প্রধান মাসুদ বিশ্বাসসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আগের দিন মঙ্গলবার (১২ জুলাই)  ১২তম গভর্নর হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেন আবদুর রউফ তালুকদার। এদিন  তিনি মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আনা এবং বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বাড়ানোকে এখন প্রধান কাজ হিসেবে ঠিক করেছেন বলে জানান। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জোর দিয়ে রউফ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কাজ করছে। দ্বিতীয়ত বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারকে স্থিতিশীল পর্যায়ে আনা। তৃতীয়ত, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি করে অন্তত ৬ মাসের আমদানি বিল পরিশোধের সক্ষমতায় নিয়ে যাওয়া। চতুর্থত, আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রেখে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করা। পঞ্চমত, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রতি (এনবিএফআই) আস্থা ফিরিয়ে আনা; ষষ্ঠত বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানো, বিশেষ করে সিএমএসএমই খাতে; সপ্তম বাজেটে নেওয়া মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়ক নীতি নির্ধারণ।

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে ব্যাংকে বেঁধে দেওয়া ৯ শতাংশ ঋণ সুদহার উঠিয়ে দেওয়া হবে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে গভর্নর বলেন, ‘অর্থনীতির টেক্সটবুক (পাঠ্যবই) সূত্র তাই বলে। কিন্তু এখানে বাস্তবতা ভিন্ন, আমরা বাস্তব পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সেদিকে আপাতত যাচ্ছি না।এই মুহূর্তে পাঠ্যবইয়ের সমাধান সম্ভব নয়, বাস্তব সমাধান বের করব। সুদহার বাড়ালে বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত হবে। তা কর্মসংস্থানে তৈরি করবে না। প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ চাকরির বাজারে প্রবেশ করে, আমরা তাদের জন্য কর্মসংস্থান করতে চাই।”

চাহিদা কমিয়ে ডলার সাশ্রয়ে মনোযোগী নতুন গভর্নর বলেন, আমরা চাহিদার জায়গায় হস্তক্ষেপ করেছি। চাহিদা কমিয়ে আনতে পারলে ডলার সাশ্রয় হবে। সেদিকেই যাচ্ছি।