উন্নয়ন সহযোগীদের ঋণ যাচাই-বাছাই করে নেওয়া হবে: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস্থার যেসব বিনিয়োগ দেশের জন্য লাভজনক হবে সেগুলো যাচাই-বাছাই করে গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। অবকাঠামোসহ দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশ প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাজধানীর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে স্থানীয় সরকার বিভাগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর কর্ম ও জীবনীভিত্তিক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া এসব অর্থ বিভিন্ন উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করি তাহলে লোন পরিশোধ করার পরও দেশ লাভজনক অবস্থানে থাকবে। সব দেশ ঋণ নিয়ে থাকে সে দেশের উন্নয়ন, মানুষের কল্যাণ এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধির জন্য। সব দেশের লোন জনগণই শোধ করে থাকে। কারণ, সরকার যে টাকা দিয়ে ঋণ পরিশোধ করে তা মূলত জনগণেরই টাকা।’

মো. তাজুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তা বললে কিছু মানুষের সহ্য হয় না। ৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দেশের উন্নয়ন থমকে যায়। দেশ দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়। এরপর শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ব্যবস্থা, কৃষি, শিল্প-কারখানা, জিডিপির গ্রোথ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আর্থ-সামাজিকসহ সব ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন এসব উন্নয়নের কথা কাউকে বলা যাবে না। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার কথা বলতে গেলে একটি গোষ্ঠীর ভালো লাগে না।’

তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্যারিশমেটিক নেতৃত্বের কারণে সারা বিশ্বেই তার একটি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছিল। পৃথিবীর অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি বঙ্গবন্ধু ও তার আদর্শের কথা বলেছেন। তিনি অন্যায়ের সঙ্গে কখনও আপস করেননি। মানুষের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসা, বৈষম্য নিরসনে দূরদর্শিতা এবং লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নের সাহস পদক্ষেপ ও কৌশল অনুসরণীয় এবং অনুকরণীয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আসার পর তার কোনও ভবিষ্যৎ নিশ্চয়তা ছিল না। অনিশ্চয়তার জায়গা থেকেই তিনি জনগণের ভালোবাসায় দেশের উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে আজকের জায়গায় এসেছেন।’

স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. সাইফুর রহমান, এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী সেখ মোহাম্মদ মহসীন, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর এবং ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।