কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যার প্রধান আসামি ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

বন্দুকযুদ্ধ

রাজধানীর কেরানীগঞ্জে শিশু আবদুল্লাহ হত্যার প্রধান আসামি মোতাহার র‌্যাবের সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে নিহত হয়েছেন। সোমবার ভোর সোয়া ৪টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের চিতাখোলার কাছে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে র‌্যাব একটি বন্দুক উদ্ধার করেছে।

র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া শাখার উপ-পরিচালক মেজর রুম্মান মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। র‌্যাব জানায়, গতকাল গভীর রাতে চিটাখোলা এলাকায় র‌্যাব চেকপোস্টের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে দুজন যাওয়ার সময় র‍্যাব তাদের থামার সংকেত দেয়। এসময় মোটরসাইকেল আরোহীরা র‍্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র‍্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে একজন আহত হন। আর অপরজন মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে মিটফোর্ড হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে জানা যায় নিহত ওই ব্যক্তি আবদুল্লাহ হত্যার প্রধান আসামি মোতাহার। তবে মোটরসাইকেল চালক পালিয়ে যেত সক্ষম হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি শুক্রবার দুপুরে খেলার মাঠ থেকে আবদুল্লাহকে অপহরণ করে অহরণকারীরা।পরে আব্দুল্লাহর মা,  এক চাচা ও বাসার পাশের এক ফার্মেসি দোকানীর মোবাইল নম্বরে অন্য একটি (০১৮৭-৯৩৬১৭৯৫) নম্বর থেকে এসএমএস আসে, সন্ধ্যার মধ্যে 'বিকাশ' করে সাড়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেওয়া হলে আব্দুল্লাহকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অন্যথায় শিশুটিকে হত্যা করা হবে।
অপহরণকারীদের শর্তমতে তাদের দেওয়া একটি বিকাশ নম্বরে শনিবার রাতেই এক লাখ এবং রবিবার দুপুরে আরও এক লাখ টাকা পাঠানো হয়। এরপরই বন্ধ হয়ে যায় অপহরণকারীদের মোবাইল নম্বরটি। ঘটনার দিন রাতে আব্দুল্লাহদের বাসায় পোশাকধারী পুলিশ হাজির হওয়ার কারণে অপহরণকারীরা তাদের মোবাইল নম্বর বন্ধ করে দেয়। মোবাইল বন্ধ করার আগে তারা এস‌‌এমএস দেয়— ‘আপনারা পুলিশকে খবর দিয়েছেন, আমরা নিষেধ করার পরও পুলিশ বাসায় আসছে কেন? বিষয়টি খুব খারাপ হয়েছে!’

 

/এসটি/