চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে খুশি ইউএস কোস্টগার্ড

চট্টগ্রাম বন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার ও আধুনিক করার লক্ষ্যে এক হাজার ২৪১টি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখে ইউএস কোস্টগার্ড সন্তোষ প্রকাশ করেছে। সম্প্রতি ইউএস কোস্টগার্ডের একটি প্রতিনিধিদল বন্দর সফর করে এই অভিমত জানায়। রবিবার (১১ সেপ্টেম্বর) নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়ন, আর্থিক ও প্রশাসনিক সংক্রান্ত বৈঠকে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মোস্তফা কামালসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান ও বিভাগীয় প্রধানরা জুম মিটিংয়ে অংশ নেন। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় থেওেক পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অনুষ্ঠানে নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দরে শুল্ক কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে ৬০ মেট্রিক টন বিপদজনক পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দরের কর্ণফুলী নদীর সদরঘাট থেকে বাকলিয়ার চর পর্যন্ত ডেজিংয়ের মাধ্যমে নাব্য বৃদ্ধির কাজ ৯৫ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে।  বাকি কাজ সেপ্টেম্বরে শেষ হবে। আগামী তিন বছর ওই এলাকায় সংরক্ষণ ড্রেজিং কাজ চলমান থাকবে। বন্দরের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গেট, শেড ও ইয়ার্ডে আধুনিক পাবলিক এড্রেস সিস্টেম (পিএএস) বর্তমানে চালু আছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) ও কমলাপুর ইনল্যান্ড কন্টেইনার ডিপোতে (আইসিডি) নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের সবকটি গেটে স্ক্যানার স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। ইন্টারন্যাশনাল শিপ অ্যান্ড পোর্ট ফ্যাসিলিটি সিকিউরিটি (আইএসপিএস) কোড বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রফতানিমুখী গেটে কন্টেইনার স্ক্যানার স্থাপনের কাজ চলছে। বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ড ও টার্মিনালের জন্য প্রয়োজনীয় ইক্যুইপমেন্ট সংগ্রহের কাজ চলমান। বন্দরের পোর্ট লিমিট এলাকায় অনুমোদনবিহীন বাল্কহেড চলাচলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।