মিয়ানমারের সামরিক শাসক কারও কথা মানতে চায় না: প্রধানমন্ত্রী

মিয়ানমারের সামরিক শাসক কারও কথা মানতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, শুধু জাতিসংঘ কেন? আসিয়ান দেশগুলোও কম চেষ্টা করেনি। অন্যান্য দেশও করেছে। মিয়ানমার সরকার সেখানে মিলিটারি রুলার, তারা তো কারও কথাই মানছে না।

জাতিসংঘ সম্মেলন ও যুক্তরাজ্য সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) বিকালে গণভবনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

নির্যাতনের শিকার হয়ে নতুন করে কোনও রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আসতে চাইলে তাদের প্রশ্রয় না দেওয়ার ইঙ্গিত করে সরকারপ্রধান বলেন, আমরা যেসব রোহিঙ্গাকে থাকতে দিয়েছি তাদের সমস্যা নিয়ে আমরা জর্জরিত। এর ওপর আমাদের মানুষের ওপর বোঝা কীভাবে চাপাবো? সেজন্য আমরা তাদের সাথে আলোচনা চালাচ্ছি। আলোচনা করে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি—তারা যাতে এদের ফেরত নিয়ে যায়। 

তিনি জানান, জাতিসংঘের বিভিন্ন সংগঠন রোহিঙ্গাদের সহযোগিতা করছে। তারা আমাদের সাথে আছে। তারা বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

তিনি বলেন, মিয়ানমারে এখন যে যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করছে সেটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সেখানে আমরা নাক গলাতে যাই না এবং যাবো না। অন্য দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালাতে আমাদের মাটি কেউ ব্যবহারও করতে পারবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের কারণে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। মাদক পাচার হচ্ছে। নৌকায় ওঠে মালয়েশিয়া যাবে বলে, কিন্তু পরে সেটা সীতাকুণ্ড বা সোনাদিয়ায় পৌঁছে যাচ্ছে বা নৌকাডুবি হচ্ছে। নানা রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। আমরা জাতিসংঘে সমস্যাগুলো বারবার তুলে ধরছি। কিন্তু এই শরণার্থী রোহিঙ্গারা তাদের দেশে কতটুকু ফেরত যেতে পারবে—সেটা হলো বড় কথা। পাঁচটা বছর তারা আমাদের কাঁধে বোঝা হয়ে আছে। যে বৈদেশিক সহযোগিতা আসতো, সেটাও সীমিত হয়ে আসছে। এটাও ঠিক—যেহেতু আমরা মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দিয়েছি। এই আশ্রিতদের ঠেলে দিতে পারি না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়- এই নীতিতে আমরা বিশ্বাস করি। কারও সঙ্গে ঝগড়ায় যাই না।’