বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ প্রতিদিনই এগিয়ে যাচ্ছে: রোসাটম মহাপরিচালক

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজের ধারা ও গতি একই রকমভাবে এগিয়ে চলার জন্য বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশনের (রোসাটম) মহাপরিচালক অ্যালেক্সি লিখাচেভ।

তিনি বলেছেন, প্রতিদিনই কার্যক্রম শুরুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সকালে পাবনার ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় চুল্লির প্রেসার ভেসেল প্রতিস্থাপন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি রূপপুরের কাজের অগ্রগতি ও বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রেসার ভেসেল প্রতিস্থাপনের উদ্বোধন করেন।

লিখাচেভ বলেন, আমি এ কথা বলতে চাই যে বাংলাদেশের পক্ষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা না করলে কাজের এত উচ্চগতি অর্জন করতে পারতাম না।

মহামারির সময়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘করোনা উপেক্ষা করে আমাদের নির্মাণকারীরা নিয়মিতভাবে ফ্লাইট করে আসা-যাওয়ার সুযোগ বাংলাদেশ করে দিয়েছে। এ জন্য বাংলাদেশের প্রতি আমি গভীর কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমাদের প্রকল্প নির্মাণের একই রকম গতি রয়েছে, যার ফলে বাংলাদেশে প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে।’

আধুনিক বাংলাদেশের মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একবার বলেছিলেন, ‘আমি আপনাদের স্বাধীনতা দিয়েছি, সেটি সর্বদা সংরক্ষণ করুন, এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। জ্বালানি স্বাধীনতার মাধ্যমেও নিজের দেশের রাজনৈতিক স্বার্বভৌমত্ব আরো মজবুত হয়।’

কাজের অগ্রগতির কথা তুলে ধরে লিখাচেভ বলেন, ‘হবহু এক বছর আগে একই রকম একটি ঘটনার সাক্ষী আমরা হয়েছি। আর এক্ষুনি আমরা দেখছি রোসাটমের মাধ্যমে কত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আমরা কত এগিয়ে গিয়েছি। সব বাধ্যবাধকতা পূরণ করে আমরা এই প্রকল্পের গুরুত্ব নির্ধারণ করেছি।’

প্রথম ইউনিটেও অনেক কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে টারবাইন ফলের ফলার ক্রেইন স্থাপন করা হয়েছে। এপ্রিলে জেনারেটর স্টেটর স্থাপন করা হয়েছে। তা ছাড়া এপ্রিলে ইউনিট বিল্ডিংকে ডেডলাইনের আট মাস আগেই শেষ করা হয়েছে।’

চারটি কুলিং টাওয়ার নির্মাণের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করছি। আমরা নিরলস প্রচেষ্টা চালাচ্ছি আগামী বছর ফ্রেশ পারমাণবিক জ্বালানির প্রথম বেইজ উৎপাদন করার জন্য সাইট তৈরি হয়।

বাংলাদেশিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে লিখাচেভ বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রে যারা বিশেষ কাজ করবে আমরা ইতিমধ্যে তাদের প্রস্তুত করছি। ৬০৬ জন বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞ প্রশিক্ষণ শুরু করেছে। প্রশিক্ষণ পেয়েছে প্রায় ৩০০ মানুষ। ২৪০ জন রাশিয়া থেকে শিক্ষা নিয়ে এসেছে। আজ আমরা আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ট্রেনিং সেন্টার উদ্বোধন করেছি। সেখানে প্রশিক্ষণ পাবেন ১৭ জন বিশেষজ্ঞ, যারা ভবিষ্যতে এখানে কাজ করবেন।’

এ সময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হক উপস্থিত ছিলেন।