খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি এক শতাংশের বেশি কমেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী

বিগত আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশ ছাড়িয়ে গেলেও অক্টোবরে এসে কিছুটা কমেছে। অক্টোবরে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। এসময়ে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি এক শতাংশের বেশি কমেছে।

মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একনেক সভা শেষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) দেওয়া অক্টোবর মাসের ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ তথ্যে এমনটা বলা হয়েছে। পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান মূল্যস্ফীতির সর্বশেষ তথ্য প্রকাশ করেন।

বিবিএসের হিসাব মতে, আগস্ট মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। পরের মাস সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে ৯ দশমিক ১ শতাংশ হয়। ওই দুই মাসে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশের ওপরে। তবে মূল্যস্ফীতি কমার পাশাপাশি মজুরি সূচক বেড়ে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে।

বিবিএসের হিসাবে, গত (অক্টোবর) মাসে সবচেয়ে বেশি মূল্যস্ফীতি হয়েছে খাদ্যবহির্ভূত খাতে। এ খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে অক্টোবরে। এটি কমে দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৮ শতাংশে। সেপ্টেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাওয়ায় গত মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, সেপ্টেম্বর মাসে ৯ দশমিক ১০ ছিল, অক্টোবরে কমে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। প্রায় ০ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। আমাদের কথা ফলে গেছে। শুধু মূল্যস্ফীতি নয়, ব্যক্তি আয় বেড়েছে। গত মাসে মজুরি সূচক ছিল ৬ দশমিক ৮৬, এখন বেড়ে ৬ দশমিক ৯১ শতাংশ হয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমেছে, সামনে আরও কমবে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলেছিলাম মূল্যস্ফীতি কমবে, সেটাই হয়েছে। আশা করি সামনে আরও কমবে। বর্তমানে উৎপাদন ব্যাহত হলে শর্টেজ আসবে। আমরা কঠিন সময়ের ভেতর দিয়ে যাচ্ছি। সারা বিশ্ব কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। নানা সমস্যার পরও প্রবৃদ্ধি ইতিবাচক অবস্থায় আছে। মাঠে ভালো ফসল আছে, এটা ঘরে এলে সামনে মূল্যস্ফীতি আরও কমবে।