আমদানি করা ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্য মনিটরিংয়ে আলাদা কর্তৃপক্ষের সুপারিশ

চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা বিস্ফোরক ও ঝুঁকিপূর্ণ রাসায়নিক পণ্যের সুরক্ষা, মনিটরিং এবং দ্রুত অপসারণে একটি নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই সুপারিশ করা হয়।

সূত্র জানায়, চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা বিস্ফোরক ও বিপজ্জনকদ্রব্য যাতে মজুত না থাকে সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছিল সংসদীয় কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুধবারের বৈঠকে জানানো হয়, শুল্ক কর্তৃপক্ষের প্রক্রিয়াগত জটিলতার কারণে বেশ কিছু বিপজ্জনক পণ্য ও বিপজ্জনক পণ্যবাহী কন্টেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে জমে আছে। চট্টগ্রাম বন্দরে ঝুঁকিপূর্ণ, বিপজ্জনক পণ্য/কন্টেইনার পর্যবেক্ষণের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের নজরদারির পরিপ্রেক্ষিতে ৬০ টন বিপজ্জনক রাসায়নিক পণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। তবে এখনও ২৬৬ টিইইউএস বিপজ্জনক পণ্যবাহী এফসিএল কন্টেইনার বন্দরে আছে। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এগুলো নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করছে বলে জানিয়েছে।

কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, শাজাহান খান, মাহফুজুর রহমান, এম আব্দুল লতিফ, আছলাম হোসেন এবং এস এম শাহজাদা বৈঠকে অংশ নেন।

এদিকে সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বৈঠকে সব নদী বন্দরের জন্য একটি আইন তৈরি করার সুপারিশ করা হয়।

কমিটি শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আন্তর্জাতিকমানের 'সেফটি ড্রেস' এর নীতিমালা ও প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের মাস্ক সরবরাহের সুপারিশ করে।

বৈঠকে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় মোংলাসহ সকল নদীবন্দর ও স্থলবন্দরে প্রজেক্ট গ্রহণ করে ট্রমাসেন্টার তৈরি করার সুপারিশ করা হয়।

বৈঠকে কর্ণফুলী নদীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরও সক্রিয় হওয়ার সুপারিশ করা হয়।