দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বাংলাদেশ-নেপাল সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: রাষ্ট্রদূত

দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে বাংলাদেশ-নেপাল সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ উল্লেখ করে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারী বলেছেন, 'বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সম্পর্কে পরিণত হয়েছে৷ পর্যটকরা হিমালয় থেকে বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিচরণ করছেন। তাদের নানা পদক্ষেপে দুই দেশের কৃষ্টি-সংস্কৃতি আদান-প্রদান ঘটছে। আমরা এই সহযোগিতাকে প্রতিনিয়ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই।'

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর)  জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উৎযাপনের লক্ষ্যে হিমালয়ের 'ডোলমা খাং' পর্বতশিখর বিজয় উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন। সংবাদ সম্মেলনটি আয়োজন করে বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রেকিং ক্লাব।

নেপালের রাষ্ট্রদূত বলেন, 'পর্যটনসহ নানা অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-নেপালের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশ পারস্পরিক সম্পর্কের বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশি পর্বতারোহীদের আমরা সকল সহযোগিতা প্রদানে প্রস্তুত।'

তিনি আরও বলেন, 'বিভিন্ন সময় নেপালের পর্বতে আরোহণকারী বাংলাদেশিরা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করেছে। হিমালয়ের দুর্গম পাদদেশে বসবাসকারী জনগণের অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং তাদের সংস্কৃতিকে বিশ্ব মঞ্চে তুলে ধরতে তারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। বাংলাদেশ-নেপাল সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে 'ডোলমা খাং' বিজয় তার অন্যতম নিদর্শন। এ অভিযানে অংশ নেওয়া বাংলাদেশি ও নেপালি পর্বতারোহীদের আমি অভিনন্দন জানাই।'

সংবাদ সম্মেলন অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের গভর্নিং বডির চেয়ারপারসন হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, 'বাংলাদেশ-নেপাল কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে 'ডোলমা খাং' অভিযান সফল হওয়ার অভিনন্দন জানাচ্ছি। এসব অভিযান মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তিকে জাগ্রত করে। বাংলাদেশের পুনর্জাগরণের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব কর্মকাণ্ডের উদ্যোগ নিতে হবে। সববয়সী লোকজনকে এসকল উদ্দীপনা দানকারী অভিযানে উৎসাহিত করতে হবে।'

উল্লেখ্য, 'ডোলমা খাং' হিমালয় পর্বতমালার অন্যতম শীর্ষ শৃঙ্গ, এর উচ্চতা ২১ হাজার ৪৪৩ ফুট। গত ১২ অক্টোবর বাংলাদেশ ও নেপালের আট পর্বত আরোহী 'ডোলমা খাং' অভিযানে নামেন। তবে বিরূপ আবহাওয়ার জন্য ১৬ হাজার ৪০০ ফুট উচ্চতায় অভিযান পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর দ্বিতীয়বারের প্রচেষ্টায় ২ নভেম্বর নেপালের স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় দুই দেশের আট পর্বতারোহী ডোলমা খাং শীর্ষে পদার্পণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন অভিযানের স্পনসর ইস্পাহানি টি লিমিটেডের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মার্কেটিং ফজলে রাব্বি, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার ফজল মাহমুদ রনি, বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক নিয়াজ আব্দুর রহমান প্রমুখ।