‘তারেক লন্ডনে থাকে রাজার হালে, দেশে করে বোমাবাজি’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আজকে খালেদা জিয়া কারাগারে কেন? বিদেশ থেকে টাকা এসেছে এতিমের জন্য। সেই টাকা আর এতিমের হাতে যায়নি। সব নিজেরা পকেটে ঢুকিয়েছে। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার মামলা করেছে। সেই মামলায় ১০ বছরের সাজা হয়েছে। তার ছেলে একটাতো (আরাফাত রহমান কোকো) মারা গেছে। তার পাচার করা টাকা আমরা সিঙ্গাপুর থেকে কিছুটা এনেছি। আরেকজন (তারেক রহমান) কুলাঙ্গার বানিয়ে রেখেছে জিয়াউর রহমান। সে এখন লন্ডনে বসে আছে। সে গেলো কেন লন্ডনে? ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মুচলেকা দিয়ে আর কোনোদিন রাজনীতি করবে না বলে দেশ থেকে পালিয়েছিল। সেখানে রাজার হালে থেকে দেশের ভেতরে বোমাবাজি, খুন-খারাপি ও নাশকতা করে তারেক।’

রবিবার (৪ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে আওয়ামী লীগের জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জিয়াউর রহমান যখন মারা যায় তখন বলা হয়েছিল, কিছুই রেখে যায়নি। একটা ভাঙা সুটকেস ও ছেঁড়া গেঞ্জি ছাড়া কিছু ছিল না। আমার প্রশ্ন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসতে না আসতে হাওয়া ভবন খুলে তার ছেলে যে চাঁদাবাজি ও অর্থপাচার করেছে- রাতারাতি আঙুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছে- এগুলো কোথা থেকে এলো। ভাঙা সুটকেসটাতো আর জাদুর বাক্স হয়ে যায়নি।’

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ জনগণের জন্য কাজ করে, দেশের স্বাধীনতা এনেছে। আওয়ামী লীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করে। যখন থেকে আমরা ক্ষমতায় এসেছি, এই চট্টগ্রামে প্রথম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আমরা করেছি। ঢাকা-চট্টগ্রাম চার লেন মহাসড়ক করেছি। এই মহাসড়ককে আমরা ছয় লেনে উন্নীত করবো। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার আমরা রাস্তা নির্মাণ করে দিচ্ছি। সঙ্গে সঙ্গে রেল লাইন করছি। কক্সবাজারেও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর করছি। এই চট্টগ্রামে মেডিক্যাল কলেজ, চারটি বিশ্ববিদ্যালয়, মেরিটাইম ইউনিভার্সিটি, মেরিন অ্যাকাডেমি- এমন কোনও প্রতিষ্ঠান নাই আমরা করে দেই নাই। প্রত্যেকটা জেলা উপজেলায় আমরা সরকারি কলেজ করে দিয়েছি। যাতে আমাদের ছেলে-মেয়েরা লেখা পড়া করতে পারে। তারা বিএনপি জামায়াতের মতো খুনি, দুর্নীতিবাজ ও লুটেরা হবে না। তারা সত্যিকারের দেশপ্রেমিক হবে।’