বিদেশি মিশনে বিজয় দিবস উদযাপন

বিদেশে বাংলাদেশের বিভিন্ন মিশনে যথাযোগ্য মর্যাদায় ৫২তম বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়েছে। বিজয় দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে দূতাবাসগুলো।

দিল্লি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সকালে রাষ্ট্রদূত মোস্তাফিজুর রহমান এবং অন্য কর্মকর্তারা শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) সকালে পতাকা উত্তোলন করেন।

এ সময় বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে সম্মান জানানোর পাশাপাশি বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন ও প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের বক্তব্য পড়ে শোনানো হয়।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা তৈরি করার। পাঁচ দশক ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে সেই স্বপ্নপূরণে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এখন বাংলাদেশ দারিদ্র্য দূরীকরণ, খাদ্য নিরাপত্তা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে।

চেন্নাইতে বিজয় প্রতিযোগিতা
ভারতে বাংলাদেশের উপহাইকমিশন, চেন্নাইয়ে বিজয় দিবস উপলক্ষে ঐতিহ্যবাহী লোয়োলা কলেজ এবং  বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন যৌথভাবে ‘ব্র্যান্ডিং বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি ক্রিয়েটিভ কনটেন্ট প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।

উপ-হাইকমিশনার শেলী সালেহীন স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের ক্ষেত্রে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্ব ও আত্মত্যাগের কথা কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ভারতীয় সেনাসদস্য ও ভারতের অবদানের কথাও স্মরণ করেন তিনি।

থাইল্যান্ডে বিজয় উদযাপন
থাইল্যান্ডের ব্যাংককে বিজয় দিবস উদযাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

খাদ্যমন্ত্রী স্বাধীনতাযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় বঙ্গবন্ধুর আপসহীন মনোভাব, ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে বঙ্গমাতার প্রেরণা, বঙ্গবন্ধুর কারাবরণ, মুক্তিযুদ্ধে তার অংশগ্রহণ ও ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। এ ছাড়া তিনি বর্তমান সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার জন্য উপস্থিত সবাইকে আহবান জানান।

এ সময় রাষ্ট্রদূত মো. আবদুল হাই তার বক্তব্যে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী দিকনির্দেশনা, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অত্যাচারের বর্ণনা এবং তার শৈশবে মুক্তিযুদ্ধের অভিজ্ঞতা উপস্থিত অতিথিদের কাছে তুলে ধরেন। তিনি সবাইকে আগামী প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দূতাবাসের কাউন্সেলর (রাজনৈতিক) মিজ দয়াময়ী চক্রবর্ত্তী।

ফিলিপাইনে উদযাপন
বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে দেশটিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত বোরহানউদ্দিন শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য বর্ণনা করে রাষ্ট্রদূত বাঙালিদের প্রতি পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর বৈষম্যমূলক আচরণ এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালির বিজয় অর্জনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্য ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উত্তরোত্তর সাফল্য ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন হচ্ছে।’ এ সময় তিনি বিদেশের মাটিতে বসবাসকারী প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিভিন্ন কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।

বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রাখার জন্য পৃথিবীর সব প্রান্তে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের নিয়মিতভাবে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহ্বান জানান তিনি।