ইভিএম নিয়ে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি ইসি

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০ আসনে ইভিএম (ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার নিয়ে সংশয় থাকলেও আশা ছাড়েনি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন। এর আগে আলমগীরসহ ইসির একাধিক সদস্য জানিয়েছিলেন, ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ইভিএম প্রকল্প পাস না হলে দেড়শ’ আসনে এই যন্ত্র ব্যবহার করা সম্ভব নয়।

এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বৃহস্পতিবার কমিশনার আলমগীর বলেন, কমিশন সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহারের কথা বলছে। এটা সুনির্দিষ্ট নয়, কারণ এখনই বলা সম্ভব নয় প্রশিক্ষণ দিয়ে কতটা প্রস্তুত করা সম্ভব হবে।

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘ইভিএম কেনার বিষয় আছে, সফটওয়্যার ইনস্টল করার ব্যাপার আছে। তারপর সেটা চেকিং, ট্রেনিং, ভোটার এডুকেশন; সবকিছু মিলিয়েই কমিশনের অবস্থান ছিল জানুয়ারির মধ্যে না হলে দেড়শত আসনে ভোট করা সম্ভব হবে না।’

ইভিএম ইস্যুতে কমিশন এখনও আগের অবস্থানে রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এটা একটা মহাযজ্ঞ। নানা রকম ব্যাকআপ সার্ভিস তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে।

মো. আলমগীর বলেন, ইভিএম প্রকল্প এখনও অনুমোদন পায়নি। তবে সর্বশেষ প্রকল্পের অবস্থা পরিকল্পনা কমিশন থেকে ইসিকে জানানো হয়নি। ইসির আগামী কমিশন সভায় ইভিএম নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী বৈঠকের কার্যসূচিতে ইভিএম নেই। তবু আলোচনা হতে পারে। সেখানে প্রকল্প কর্মকর্তা, ইসির অধিশাখার কর্মকর্তা এবং টেকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শোনা হবে। এরপরে বলা যাবে কতদিনের মধ্যে, কতটা ইভিএম পেলে, কত আসনে ভোট করা সম্ভব হবে।

পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো প্রকল্প প্রস্তাবে দুই লাখ ইভিএম কেনার কথা বলা হলেও কমিশনার আলমগীর বলেন, ‘দুই লাখের কম, এক লাখ বা এর চেয়ে কম হলেও প্রকল্প পাস হতে পারে। কারণ, পরিকল্পনা কমিশন থেকে এখনও ইয়েস বা নো কিছুই বলা হয়নি। তাই চূড়ান্তভাবে কিছু এখনও বলা সম্ভব নয়। পরিকল্পনা কমিশন যদিও এই মাসের (জানুয়ারি) মধ্যেও বলে যে কতটুকু সম্ভব তাহলে ইসিও চূড়ান্তভাবে বলতে পারবে। এই মাসের মধ্যে পাস না হলে দেড়শ’ আসনে কঠিন হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বরাদ্দ না থাকায় ৬ সংসদীয় উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় মনিটর হচ্ছে না

বরাদ্দ না থাকায় ৬ সংসদীয় উপনির্বাচনে সিসি ক্যামেরার ব্যবহার করা যাচ্ছে না- এমন পরিস্থিতিতে আগামী সংসদ নির্বাচনে ইসির পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এর আগে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে আগের বরাদ্দের টাকায়। এরজন্য সরকারের কাছে অতিরিক্ত বরাদ্দ চাওয়া হয়নি। চলমান আর্থিক মন্দার মধ্যে টাকা চাওয়াও যুক্তিযুক্ত না।

তিনি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ ভোটের আগেই আরেকটি অর্থবছর শুরু হবে এবং নতুন বাজেট থেকে ব্যয় হবে। তখন বাজেট পাওয়া গেলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিসি ক্যামেরার বিষয়টি বললেই হবে না। অর্থের সঙ্গে এখানে আরও কিছু ব্যাপার রয়েছে। ব্যবস্থাপনা ও মনিটরিংয়ের উপায় বের করতে পারলে অবশ্যই সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে। তিনি জানান, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এই যন্ত্র ব্যবহার নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে।