অর্থনৈতিক কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না: সিইসি

দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে দুই লাখ ইভিএম কেনার প্রকল্পে সরকার সায় দেয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তবে প্রকল্প স্থগিত হলেও তাতে সিইসি হতাশ নন।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা জানান। গত রবিবার পরিকল্পনা কমিশন নতুন ইভিএম প্রকল্প প্রস্তাব এক চিঠির মাধ্যমে স্থগিত করে দেওয়ার তিন দিন পর এ কথা বলেন সিইসি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল জানান, প্রকল্প স্থগিতের পর কমিশনের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে চান না তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘এটা আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার নয়, হতাশার কিছু নেই। একটা সিদ্ধান্ত এসেছে, সার্বিক অর্থনীতির কারণে সরকার ইভিএম দিতে পারছে না। এখানে আমাদের রিঅ্যাকশনের কিছু নেই।’

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রাপ্যতা সাপেক্ষে সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম হবে। এখানে (পরিকল্পনামতো না হওয়ায়) হতাশ হওয়ার প্রশ্নই আসে না বলে জানান তিনি।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমাদের যে ইভিএম আছে, তা দিয়ে ৫০, ৪০ বা ৩০ আসনে হবে? এ বিষয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিইনি এখনও। আমাদের কাছে যে ইভিএম আছে তা যদি কার্যকর থাকে, আমরা কিউসি করছি, যতটা সম্ভব নির্বাচন করবো। এ বিষয়টা এখনও নিশ্চিত নই।’

এ সময় পরে কত আসনে ইভিএমে হবে, সে সিদ্ধান্ত হবে বলে উল্লেখ করেন সিইসি।

আগামী নির্বাচন আয়োজনের যে পরিকল্পনা ইসি সাজিয়েছে, তাতে সর্বোচ্চ ১৫০টি সংসদীয় আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের ভাবনা ছিল। সেই লক্ষ্যে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ২ লাখ ইভিএম ক্রয় ও ব্যবস্থাপনার জন্য গত বছরের অক্টোবরে এ প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।