সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সন্ত্রাস-জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ দায়িত্বশীল ‍রাষ্ট্রের স্বীকৃতি পেয়েছে

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীসন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বংলাদেশ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে দায়িত্বশীল ‍রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তিনি বলেন, জঙ্গি দমন ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে মঙ্গলবার প্রশ্ন-উত্তর-পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়।
সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার সব ধরনের সন্ত্রাস ও  জঙ্গিবাদ দমনে জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করে আসছে। বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডকে যেন কেউ সন্ত্রাস বা জঙ্গিবাদ সম্পর্কিত কোনও কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করতে না পারেন, সে ব্যাপারে সরকার বদ্ধপরিকর।
সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গিবাদকে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মধ্য দিয়ে বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় শুধু বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় নয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যেকোনও শুভ উদ্যোগের সঙ্গে সম্পৃক্ত থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাওয়ার ক্ষেত্রে সরকার যথেষ্ট সচেষ্ট থাকবে।

এদিকে, সরকার দলের ইসরাফিল আলমের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিয়ে স্বাধীনতাবিরোধীদের অব্যাহত বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় প্রভাবিত হয়ে কতিপয় আন্তর্জাতিক সংগঠন নানা সময়ে পক্ষাপাতদুষ্ট ও একপাক্ষিক বিবৃতি দিয়েছে, যা কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি জানান, মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের রায় কার্যকর করার বিষয়ে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অনাকাঙ্ক্ষিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়েছে। এ কারণে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবরই এ বিষয়ে সব ধরনের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া বা অপপ্রচারের সমুচিত জবাব দিয়ে আসছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যেকোনও ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত বিবৃতি বা মন্তব্য কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না বলে আমরা তাদের শক্তভাবে জানিয়ে দিয়েছি। ভবিষ্যতে তারা যাতে এ ধরনের অযাচিত মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকে এবং এ বিষয়ে দায়িত্বশীল আচরণ দেখানোর বিষয়টি আমরা তাদের মনে করিয়ে দিয়েছি।

মাহমুদ আলী জানান, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের পক্ষে বিশ্বব্যাপী প্রচারণার ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে বিভিন্ন রাষ্ট্রের সরকার, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো, সুশীল সমাজ ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোর সঙ্গে  মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারের পক্ষে ইতিবাচক জনমত গড়ার লক্ষ্যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপভিত্তিক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সম্পর্কিত প্রতিবেদন প্রকাশের কাজও চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন বিচারিক কার্যক্রম যৌক্তিকভাবেই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্য অর্জন করেছে।

/ইএইচএস/এমএনএইচ/