জনবলের অভাব হবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের সবক্ষেত্রে ডিজিটালাইজেশনের পাশাপাশি লোকবল নিয়োগ দিতে হবে। লোকবল নিয়োগ প্রক্রিয়াধীন। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা করে দিয়ে দিয়েছি। অনুমোদন হয়ে গেলে আগামীতে জনবলের ঘাটতি আর থাকবে না বলে আমি বিশ্বাস করি। যারা কাজ করে তাদের মানসম্মত সেবা দিতে হবে এবং দায়বদ্ধ থাকতে হবে।

রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকালে রাজধানীর একটি হোটেলে হেলথ বুলেটিন ২০২০- এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। উল্লেখ্য, ইংরেজিতে প্রকাশিত এই বার্ষিক প্রকাশনাটি প্রতি বছর দেশের স্বাস্থ্য পরিস্থিতির একটি হালনাগাদ চিত্র ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত প্রকাশ করে থাকে। এটি বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের সার্বিক অবস্থার একটি চিত্র তুলে ধরে। এটিকে স্বাস্থ্যখাতের দর্পনও বলা যেতে পারে। স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে লোকাল হেলথ বুলেটিন এবং কেন্দ্রীয় হেলথ বুলেটিন এই দুই ধরনের হেলথ বুলেটিন প্রকাশ করা হয়।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ডিজিটালাইজড করতে চাই। আটটি বিভাগের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করে সব ধরনের হাসপাতাল তৈরি করতে চাই। মানুষের দোরগোড়ায় যাতে সব ধরনের চিকিৎসা ব্যবস্থা পৌঁছায় এটি প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছা। যাতে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসতে না হয়। শুধু সেবা দিলেই হবে না, আমাদের মানসম্মত সেবা দিতে হবে।

তিনি বলেন, মানুষ বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাবে কেন। আমাদের দেশ মধ্যম আয়ের দেশ। আমাদের দেশে ভালো চিকিৎসক, নার্স আছে। ভালো হাসপাতাল হয়ে গেছে। বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এখানেই ভালো চিকিৎসা ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। শুধু আস্থার অভাব আছে। এই আস্থা ধীরে ধীরে জন্মাবে। আমরা যদি ভালো চিকিৎসা দেই, ভালো ব্যবহার করি, যন্ত্রপাতি ঠিক থাকে, নিজেরা উপস্থিত থাকি তাহলেই আস্থা গড়ে উঠবে।

তিনি আরও বলেন, করোনার সময় তো কেউ বিদেশে যেতে পারে নাই। সবাই দেশেই চিকিৎসা নিয়েছে। কাজেই আমরা যে পারি সেটা করে দেখিয়েছি। কাজেই এটা ধরে রাখতে হবে। সমালোচনায় কান দেবেন না, মর্মাহত হবেন না। যেভাবে আমরা গা থেকে ময়লা টোকা দিয়ে ফেলে দেই, আপনারাও সমালোচনাকে গা থেকে ফেলে দেবেন।

সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর, এমআইএস পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহাদাত হোসেন প্রমুখ।